বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দ্রব্যমূল্য সারা বিশ্বেই বাড়ছে: তথ্যমন্ত্রী

  •    
  • ৬ মার্চ, ২০২২ ১৭:৩৮

‘নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি একটি অব্যাহত প্রক্রিয়া। সারা পৃথিবীতেই দ্রব্যমূল্য অব্যাহতভাবে বাড়ছে। এ দেশে যে অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে, সেটা বিএনপি চোখে দেখে না। তারা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ধোঁয়া তুলে জাতিকে বিভ্রান্ত করার রাজনীতি করছে।’

দেশে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণ নিয়ে বিএনপির বক্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, এটি এখন সারা দুনিয়ার সমস্যা। দেশে দেশেই পণ্যমূল্য বাড়ছে।

রোববার জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ উপকমিটি আয়োজিত এক আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।

আলোচনার বিষয় ছিল ‘৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ: বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ভাষণ’। তবে তথ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে আসে সাম্প্রতিক নানা ঘটনাপ্রবাহও। তিনি পণ্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে বিএনপির তোলা অভিযোগেরও জবাব দেন।

একই দিন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির পেছনে একটাই কারণ। সেটা হচ্ছে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী এবং নেতাদের দুর্নীতি। তারা এই দুর্নীতি থেকে ফুলেফেঁপে বড় হচ্ছে। সয়াবিন তেলের দাম বাড়ছে কেন? কারণ সয়াবিন তেলের যারা ব্যবসা করে তার পেছনে রয়েছে আওয়ামী লীগ।’

এই অভিযোগের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি একটি অব্যাহত প্রক্রিয়া। সারা পৃথিবীতেই দ্রব্যমূল্য অব্যাহতভাবে বাড়ছে।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য বেড়েছে ঠিকই। কিন্তু সে তুলনায় মানুষের আয়ও বেড়েছে। ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে তিনগুণ। মাথাপিছু আয় বেড়েছে প্রায় পাঁচ গুণ। কিন্তু বিএনপি নেতারা এসব বলেন না। শুধু দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে অভিযোগ করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার রাজনীতি করছেন।’

বাংলাদেশে পণ্যমূল্য বৃদ্ধির হার তুলনামূলক কম দাবি করে তিনি বলেন, ‘পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত-পাকিস্তানসহ ইউরোপের অনেক দেশে সাম্প্রতিক সময়ে ভোগ্য পণ্যের দাম অনেক বেড়েছে। একইভাবে বাংলাদেশেও দ্রব্যমূল্য বাড়ছে।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এ দেশে যে অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে, সেটা বিএনপি চোখে দেখে না। তারা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ধোঁয়া তুলে জাতিকে বিভ্রান্ত করার রাজনীতি করছে।’

আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ‘চল্লিশের দশকে এদেশে এক আনায় কয়েক কেজি চাল পাওয়া যেত। কিন্তু তারপরও মানুষ না খেয়ে মরতো, দেশে দুর্ভিক্ষ হতো। কারণ, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা ছিল না, দ্রব্যমূল্যের তুলনায় আয় কম ছিল। অথচ এখন একজন শ্রমিক একদিনের আয় ১২ থেকে ১৫ কেজি চাল কিনতে পারেন। একবেলা রিকশা চালিয়ে এক হাজার টাকা আয় করেন।

‘বাংলাদেশে দ্রব্যমূল্য যে গতিতে বেড়েছে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা এবং মাথাপিছু আয় তার চেয়ে অনেকগুণ বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিটি নাগরিকের উন্নয়ন হয়েছে। তাই নেতাকর্মীদের বলব বিভ্রান্তির রাজনীতি করা বিএনপি সম্পর্কে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আসলে তারা (বিএনপি) খালেদা জিয়ার হাঁটু এবং তারেক জিয়ার শাস্তি থেকে তাদের রাজনীতিকে বের করে আনার হাতিয়ার হিসেবে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কথা বলছেন। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে সারাদেশে সমাবেশ আয়োজন করতে গিয়ে নিজেরা মারামারিতে জড়িয়ে পড়েছেন।

‘কিন্তু তাদের মনে রাখতে হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্বে বাংলাদেশ অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। খেটে খাওয়া মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে তিন গুণ। মাথাপিছু আয় বেড়েছে সাড়ে চার গুণ। বাংলাদেশের সব মানুষের উন্নতি হয়েছে। ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে।’

বিএনপি ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালন না করায় দলটির সমালোচনাও করেন তথ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘ইতিহাস বিকৃতির রাজনীতির অংশ হিসেবেই তারা এ দিনটি পালন করেন না।’

তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ বহুমুখী তাৎপর্যময়। এই ভাষণের মাধ্যমে তিনি নিরস্ত্র বাঙালি জাতিকে সশস্ত্র জাতিতে পরিণত করেছিলেন। ৭ মার্চের ভাষণে কার্যত তিনি স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন।’

‘বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণের প্রতিটি লাইন অত্যন্ত তাৎপর্যময়। এর মাধ্যমে তিনি বাঙালি জাতিকে হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার মতো স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলেন।

‘বাঙালি জাতিসত্তার উন্মেষ পাঁচ হাজার বছর আগে হলেও এ জাতির কোনো স্বাধীন রাষ্ট্র ছিল না। একটি স্বাধীন জাতি রাষ্ট্রের জন্য নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, মাস্টারদা সূর্যসেন, তিতুমীরসহ অনেকেই সংগ্রাম করেছিলেন। কিন্তু কোনো স্বাধীন জাতি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি। যা বাঙালিকে উপহার দিয়েছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর এ কারণেই তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি।’

কবি নির্মলেন্দু গুণ আলোচনায় ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন। ভেন্যুতে উপস্থিত থেকে আলোচনায় আরও অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য কবি আব্দুস সামাদ, ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মারুফা আক্তার পপি।

আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দলটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং বন ও পরিবেশ উপকমিটির চেয়ারম্যান খন্দকার বজলুল হক।

এ বিভাগের আরো খবর