বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জঙ্গিবাদে জড়িত অভিযোগে প্রবাসী গ্রেপ্তার

  •    
  • ৬ মার্চ, ২০২২ ১৬:২৪

সিটিটিসি প্রধান বলেন, ‘মনির অনলাইনে বিভিন্ন কনটেন্ট দেখে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হন। জঙ্গি সংগঠন গাজওয়াতুল হিন্দে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের বিচারক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলার পরিকল্পনা করেন তিনি। এ জন্য ২৮ ফেব্রুয়ারি পরিবারের কাউকে না জানিয়ে দেশে আসেন মনির। তিনি হামলা চালিয়ে আবারও বাহরাইনে পালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন।’

জঙ্গি কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগে রাজধানীর মতিঝিলের ফকিরাপুল এলাকা থেকে মনির আব্দুর রাজ্জাক নামে এক প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)।

সংস্থাটি বলছে, তিনি বিচারকসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন। মনিরকে শনিবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

কুমিল্লার লাকসামের বাসিন্দা মনির বর্তমানে বাহরাইন প্রবাসী।

রোববার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামান।

তিনি বলেন, ‘মনির আব্দুর রাজ্জাক অনলাইনে বিভিন্ন কনটেন্ট দেখে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হন। জঙ্গি সংগঠন গাজওয়াতুল হিন্দে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের বিচারক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলার পরিকল্পনা করেন তিনি। এ জন্য ২৮ ফেব্রুয়ারি পরিবারের কাউকে না জানিয়ে দেশে আসেন মনির। তিনি হামলা চালিয়ে আবারও বাহরাইনে পালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন।’

সিটিটিসি প্রধান জানান, গ্রেপ্তারের সময় মনিরের কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন, দুটি সিমকার্ড ও একটি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে।

তিনি জানান, গ্রেপ্তার মনির আব্দুল রাজ্জাক ২০০৭ সালে প্রথমে বাহরাইনে যায়। সেখানে তিনি একটি কনস্ট্রাকশন কোম্পানিতে লেবার হিসেবে কাজ নেন। প্রবাসে থাকা অবস্থায় মনির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন পোস্ট ও ভিডিও দেখে উগ্রবাদী হয়ে ওঠেন।

সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামান জানান, মনির পরে ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে ‘গাজওয়াতুল হিন্দ’ নামক একটি উগ্র মতবাদী সংগঠনে যোগ দিতে ইচ্ছা জানিয়ে পোস্ট দেন। তিনি অন্যদেরও এই জিহাদে যোগদানের আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘সর্বশেষ মনির বাহরাইন থেকে ২০১৮ সালে দেশে আসেন এবং দুই মাস পর আবার প্রবাসে চলে যান। প্রবাসে বসে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ধর্মীয় উগ্রবাদী ও উসকানিমূলক পোস্ট দিয়ে অনলাইনে জঙ্গিবাদ ছড়িয়ে দিচ্ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা করছিলেন।’

সিটিটিসি প্রধান বলেন, ‘ধর্মীয় উগ্রবাদী সংগঠন গাজওয়াতুল হিন্দে যোগদানের বিষয়ে সবার দোয়া কামনা করেন, যাতে গাজওয়াতুল হিন্দের এই যুদ্ধে আল্লাহ তাকে কবুল করেন। তার এই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে বাংলাদেশের বিচারক এবং পুলিশ বাহিনীকে টার্গেট করে ফেসবুকে পোস্ট দেন মনির।

‘সেখানে তিনি লেখেন, সারা দেশের পুলিশ সদস্যদের ও বিচারকদের টার্গেট করেন। তাদের পরিবার ও তাদের ওপর হামলা করেন। ১০-১ টা মরলেই কেল্লা ফতেহ।’

মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘এমন হামলার পরিকল্পনা মাথায় নিয়ে বাহরাইন থেকে পরিবারের কাউকে না জানিয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি দেশে চলে আসেন মনির। তিনি ছদ্মবেশে ঢাকায় অবস্থান করছিলেন।’

সিটিটিসি প্রধান বলেন, ‘এ ছাড়া তিনি সহকর্মী পাকিস্তানি নাগরিকের পরামর্শে পাকিস্তানি সেজে ফেসবুকে ভুয়া আইডি খোলেন। সেখানে তিনি নিজেকে পাকিস্তান উর্দু স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়াশোনা করেছেন বলে স্ট্যাটাস দেন, যাতে অন্যরা তার আইডি দেখে তাকে পাকিস্তানি মনে করে। ওই আইডিতেও মনির রাষ্ট্রবিরোধী ও ষড়যন্ত্রমূলক পোস্ট দিতেন।’

এ বিভাগের আরো খবর