সব সরকারি হাসপাতালে পেশাদার চালকদের স্বল্প মূল্যে ডোপ টেস্টের আলাদা ব্যবস্থা তৈরি ও ডোপ টেস্টের নামে চালকদের হয়রানি বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অটোরিকশা ও হালকাযান পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে রোববার আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এসব দাবি জানানো হয়।
পরিবহন চালকদের ডোপ টেস্টের নামে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে জানিয়ে একাধিক বক্তা বলেন, এতে করে চালকদের অর্থ ও সময় ব্যয় হচ্ছে। একজন চালকের ডোপ টেস্ট ও লাইসেন্স ইস্যু বা নবায়ন করতে হলে পাঁচ থেকে ছয় দিন বিআরটিএ ও হাসপাতালে যাওয়া-আসা করতে হয়। ফলে চালকরা যথাসময়ে লাইসেন্স হাতে না পাওয়ায় চাকরি হারাচ্ছেন।
তাদের ভাষ্য, চালকরা প্রতিনিয়ত পুলিশের মামলার শিকার হচ্ছেন। তাদের জরিমানা গুনতে হচ্ছে।
অনেক জেলায় এখনও ডোপ টেস্ট শুরু হয়নি এবং তাদের সেই সক্ষমতাও নেই জানিয়ে এক বক্তা বলেন, ‘আমরা আবেদনে বলেছিলাম ডোপ টেস্ট কেবল পেশাদার চালকদের করলেই হবে না। পেশাদার এবং অপেশাদার চালকরা সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন। শুধু পেশাদার চালকদের ডোপ টেস্ট করলেই আসল উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হবে না।
‘দেশে মাদক বিক্রি ও খাওয়ার লাইসেন্স দিচ্ছে এবং অপরদিকে ডোপ টেস্টেও হয়রানি করা হচ্ছে। এটা কেমন নীতি? তাই দেশের সকল সরকারি হাসপাতালে আলাদা ব্যবস্থাপনা তৈরি করলে চালকগণ এই হয়রানির শিকার হওয়া থেকে বাঁচতে পারবে।’
ফেডারেশনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুকসহ মানববন্ধনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।