দেশের করোনাভাইরাসের ধরনের ওমিক্রনের সংক্রমণ সহনীয় পর্যায়ে এসেছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে নতুন কোনো ভ্যারিয়েন্ট আসার শঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
রোববার করোনা মহামারি পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নিয়মিত ভার্চুয়াল বুলেটিনে যুক্ত হয়ে এমন শঙ্কা জানান সংস্থাটির মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমিন।
তিনি বলেন, ‘এখনই মাস্ক খুলে ফেলার মতো কোনো কিছু হয়নি। করোনাভাইরাস পৃথিবী থেকে বিদায় না নেয়া পর্যন্ত আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’
রোবেদ আমিন বলেন, ‘বর্তমানে ওমিক্রনের মাত্রা আমরা সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে পেরেছি। এখন যে শনাক্ত হচ্ছে তার সবই প্রায় ওমিক্রন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ছাড়া অন্য কোনো উপায় এখনও নেই।’
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘমেয়াদে আমাদের এগুলো পালন করতে হবে। এখনই মাস্ক খুলে ফেলার মতো কিছু হয়নি। আমরা দেখেছি, ইতোমধ্যে অনেকেই ভাবছেন ওমিক্রনের প্রভাব কমে গেছে। ফলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন না। মাস্ক খুলে ফেলার পেছনে যুক্তি দিচ্ছেন।’
রোবেদ বলেন, ‘আমাদের খেয়াল করতে হবে, গতকালও ১৩ জন মানুষ মারা গেছেন। ৩৬২ জন শনাক্ত হয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘ভাইরাসের মিউটেশন হচ্ছে, ভাইরাসের এখনও ইভালুশেন হচ্ছে। আবারও নতুন করে কোনো ভ্যারিয়েন্ট আসবে কি না সেই শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। ওমিক্রনের যেসব নতুন নতুন উপধরন বিএ২ বা অন্য কিছু, সেটি চলে আসার সম্ভাবনা থাকবে।
‘আমাদের যেসব রিস্কি গ্রুপ আছে যেমন ডায়াবেটিস, হাইপার টেনশন, ক্যানসারের রোগীরা এবং যারা স্টেরয়েড পাচ্ছেন তাদের ক্ষেত্রে ওমিক্রনের সংক্রমণ সিরিয়াস হতে পারে।’
রোবেদ আমিন বলেন, ‘করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টিকাদান কর্মসূচিকে আমার একটি উল্লেখযোগ্য অবস্থা নিয়ে আসতে পরেছি। এটা অনেক দেশ এখন শিকার করেছে। এখন টিকার প্রথম ডোজ দেয়া চলছে।’
তিনি বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় এক লাখের বেশি মানুষকে টিকার প্রথম ডোজ দেয়া সম্ভব হয়েছে। এ নিয়ে ১২ কোটি ৫৩ লাথ ১৬ হাজার মানুষকে দেয়া সম্ভব হয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ দেয়া সম্ভব হয়েছে ৮ কোটি লাখ ৬৩ লাখের বেশি। বুস্টার ডোজে ৪১ লাখের বেশি মানুষকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে।’