রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসায় শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতনের পর তিন দিন বাথরুমে আটকে রাখার ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন বাসার গৃহকর্তা এজাজ সাকলায়েন ও তার স্ত্রী তানজীমা হাসেম।
গুরুতর আহত অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধারের পর ভাটারা থানায় মামলা করেন পুলিশের উপপরিদর্শক হাসান মাসুদ। মামলায় তানজীমা ও এজাজকে আসামি করা হয়েছিল।
রোববার ভোরে তাদের দুজনকে আটকের পর গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজেদুর রহমান।
তিনি বলেন, উদ্ধারে সহযোগিতার জন্য জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে এসআই হাসান মাসুদ বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ব্লক-বি-এর ৪ নম্বর সড়কের ১৯৩ নম্বর বাসায় যান। বাসার বাথরুম থেকে ১৩ বছর বয়সী শিশু লিজাকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করেন।
সাজেদুর রহমান জানান, শিশু লিজার বাড়ি ময়মনসিংহের রহমতপুর গ্রামে। গত ৭ নভেম্বর মাসিক ৪ হাজার টাকা বেতনে লিজা ওই বাসায় কাজে যোগ দেয়। এরপর থেকে সামান্য বিষয়েও ওই দম্পতি শিশুটিকে শারীরিক নির্যাতন করা শুরু করেন। ৩ ফেব্রুয়ারি স্বামী-স্ত্রী দুজনে লিজাকে চুরির অপবাদ দিয়ে মারধর করে। এ সময় তানজীমা হাসেম চুলায় খুন্তি গরম করে লিজার হাত, পা, মুখ, পিঠ, বুকসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছ্যাঁকা দিয়ে জখম করে। ‘
লিজার মাথার বাম দিকের চুল টেনে তুলে ফেলা হয় বলেও জানান তিনি।
তানজীমার স্বামী এজাজ শিশুটিকে রড দিয়ে পেটান। দিনভর অত্যাচারে শিশু লিজা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চিকিৎসা না দিয়ে বাথরুমে আটকে রাখা হয়। তিন দিন পানি খেয়ে ছিল লিজা।
ওসি জানান, লিজা বাথরুমের জানালা দিয়ে চিৎকার করে উদ্ধারের সাহায্য চাইলে পাশের ভবনের বাসিন্দারা ৯৯৯-এ ফোন করে এই ঘটনা জানালে ভাটারা থানার পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে লিজাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করে।
ওসি বলেন, ‘লিজাকে ভয়াবহ নির্যাতন করা হয়েছে।’