বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এবার ৩৪টি ডিম দিল ‘বাটাগুর বাসকা’

  •    
  • ৬ মার্চ, ২০২২ ১২:৩৯

করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির বলেন, ‘এ নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো করমজলে ডিম পাড়ল বাটাগুর বাসকা প্রজাতির কচ্ছপ। বর্তমানে এখানে ৪৩৬টি বাটাগুর বাসকা কচ্ছপ আছে।’

এবারে করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে ৩৪টি ডিম পেড়েছে বাটাগুর বাসকা নামের মহাবিপন্ন প্রজাতির একটি কচ্ছপ।

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের এই প্রজননকেন্দ্রের পুকুর পারের বালুর মধ্যে রোববার সকাল ৮টার দিকে এটি ডিমগুলো পাড়ে।

করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির নিউজবাংলাকে জানান, ডিমগুলো প্রাকৃতিক উপায়ে ফোটানোর জন্য বালুর মধ্যে ইনকিউবেশনে রাখা হয়েছে। আগামী ৬০ থেকে ৬৫ দিনের মধ্যে এসব ডিম থেকে বাচ্চা ফুটবে।

আজাদ বলেন, ‘মহাবিপন্ন প্রজাতির এই কচ্ছপ আমরা খুব গুরুত্বের সঙ্গে লালনপালন করছি। এদের বংশবৃদ্ধির জন্য আমরা সার্বক্ষণিক নজরদারি করছি। এর আগেও আমাদের এখানে বাটাগুর বাসকা কচ্ছপ ডিম দিয়েছে। সেই ডিম থেকে বাচ্চাও ফুটেছে।

‘এ নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো করমজলে ডিম পাড়ল বাটাগুর বাসকা প্রজাতির কচ্ছপ। বর্তমানে এখানে ৪৩৬টি বাটাগুর বাসকা কচ্ছপ আছে।’

বাংলাদেশসহ ভারত, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া ও মালয়েশিয়ার কিছু অংশে দেখা মেলে বাটাগুর বাসকা প্রজাতির কচ্ছপের। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইউসিএন) ২০০৩ সালে প্রজাতিটিকে মহাবিপন্ন ঘোষণা করে।

২০০৮ সালে বাংলাদেশের গবেষকরা নোয়াখালী ও বরিশালের বিভিন্ন জলাশয়ে আটটি বাটাগুর বাসকার সন্ধান পান। এর মধ্যে চারটি পুরুষ ও চারটি স্ত্রী। প্রজননের জন্য এগুলো নিয়ে যাওয়া হয় গাজীপুরে।

কয়েক বছরে গাজীপুরে ডিম ফুটে ৯৪টি বাচ্চা হয়। ২০১৪ সালে আটটি বাটাগুর বাসকা ও তাদের ৯৪টি ছানাকে করমজল কৃত্রিম প্রজননকেন্দ্রে আনা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর