রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মাস্টার মো. মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় কথিত আরসার ওলামা শাখার প্রধান কমান্ডার মৌলভী জকোরিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে ১৪ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা।
রোববার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক এসপি নাঈমুল হক।
গ্রেপ্তার জকোরিয়া কুতুপালং ১ নম্বর ক্যাম্পের আব্দুল করিমের ছেলে। তিনি কথিত আরসার ওলামা শাখার প্রধান হিসেবে কাজ করছিলেন।
১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক এসপি নাঈমুল হক জানান, রোহিঙ্গাদের অধিকার আদায়ের শীর্ষ নেতা নিহত মাস্টার মুহিবুল্লাহর সঙ্গে তার মতবিরোধ ছিল। মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের পর ক্যাম্প এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান চালানো হলে তিনি আত্মগোপনে চলে যান।
কিন্তু ১৪ এপিবিএন তাকে ধরতে হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। দীর্ঘ চার মাস প্রচেষ্টার পর ১৪ এপিবিএন এর লম্বাশিয়া ক্যাম্প পুলিশ তাকে শনিবার রাতে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। তাকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুস্কৃতিকারীদের মদদদাতাদের শীর্ষ পরামর্শক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
তিনি আরও জানান, মৌলভী জকোরিয়া ২০১৫ মায়ানমার থেকে এসে ফেরত যান। আবার তিনি ২০১৭ সালে আশ্রিত হয়ে লম্বাশিয়া এলাকায় অবস্থান করেন। তিনি ২০১৯ সালে ফতোয়া বিভাগের দায়িত্ব পান। ২০২০ সালে কথিত আরসা’র কুতুপালং ক্যাম্প এলাকার ওলামা শাখার প্রধান কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
এ দিকে নিহত ৫০ বছর বয়সী মুহিবুল্লাহর বাড়ি মিয়ানমারের রাখাইনের মংডু এলাকার লংডা ছড়া গ্রামে। তিনি রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করা আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান ছিলেন।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাদের হাত থেকে প্রাণে বাঁচতে মংডু টাউনশিপের সিকদার পাড়া গ্রাম থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে উখিয়া কুতুপালং লম্বাশিয়া ক্যাম্পে আসেন।
মিয়ানমারে নির্যাতনের মুখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে কাজ করছিলেন তিনি। এটাই মুহিবুল্লাহর ‘অপরাধ’ বলে মনে করেন তার ছোট ভাই ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হাবিব উল্লাহ।