বরিশাল সদর আসনের সংসদ সদস্য ও পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের নাম ব্যবহার করে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় শুক্রবার কাউনিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন বরিশাল সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আসিফ মাহামুদ হিমু।
তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার আমার আত্মীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খাদিজা বেগমের ফোনে কল আসে। কৌশলে তার নাম ও পেশা জেনে ফোন করা ব্যক্তি জানান, আপনি সৌভাগ্যবান। পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে কিছু লোককে সরকারিভাবে হজে পাঠানোর জন্য নির্বাচন করা হয়েছে। তাদের মধ্যে আপনিও একজন।
‘তখন আরেক ব্যক্তির সঙ্গে খাদিজাকে কথা বলিয়ে দেন তিনি। ওই ব্যক্তি নিজেকে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম পরিচয় দিয়ে বলেন, ৭৫ হাজার টাকা বিকাশে পাঠাতে হবে। টাকা পাঠিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে বরিশাল সার্কিট হাউসে খাদিজাকে উপস্থিত থাকতে হবে।সেখানে প্রত্যেককে ৬০ হাজার টাকার চেক দেয়া হবে।’
বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য খাদিজা প্রতিমন্ত্রীর এপিএস শফিকুল ইসলাম পিন্টুর মোবাইল নম্বরে কল দেন। পিন্টু তখন তাকে জানান, এটি প্রতারক চক্রের কাজ। এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্তই হয়নি। তাকে আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দেন প্রতিমন্ত্রীর এপিএস। পরে শুক্রবার কাউনিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহমান মুকুল বলেন, ‘প্রযুক্তির সহায়তায় বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
এ বিষয়ে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে এটি পরিকল্পিত চক্রান্ত। এ ধরনের কোনো প্রলোভনে বরিশালবাসীকে না পড়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আমার নাম ভাঙিয়ে কেউ বিকাশ কিংবা নগদ টাকা চাইলে সরাসরি আমার মোবাইল নম্বরে কল করার অনুরোধ করছি।’