বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চবির ফারসি বিভাগের সেই নিয়োগ বাতিল

  •    
  • ৫ মার্চ, ২০২২ ২০:২৪

ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান বলেন, ‘যে নিয়োগ নিয়ে এত বিতর্ক, সে নিয়োগ বোর্ডের সুপারিশ নিয়ে সিন্ডিকেটে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা ও সততার স্বার্থে নিয়োগ বোর্ডের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ বাতিল করা হয়েছে।’

অর্থ লেনদেনসংক্রান্ত অডিও ফাঁসসহ নানা অনিয়মের ঘটনায় সমালোচনার মুখে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে সিন্ডিকেট।

নিয়োগে অনিয়মে জড়িতদের শনাক্তে চার সদস্যের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি করেছে সিন্ডিকেট। তাদের তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

শনিবার বিকেলে নগরীর চারুকলা ইনস্টিটিউটে চবির ৫৩৭তম সিন্ডিকেট সভায় ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলের এ সিদ্ধান্ত হয়।

বিকেলে এক চিঠিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান।

তিনি বলেন, ‘যে নিয়োগ নিয়ে এত বিতর্ক, সে নিয়োগ বোর্ডের সুপারিশ নিয়ে সিন্ডিকেটে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা ও সততার স্বার্থে নিয়োগ বোর্ডের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ বাতিল করা হয়েছে।’

রেজিস্ট্রার বলেন, ‘অডিও ফাঁসসহ নিয়োগে নানা অনিয়মে জড়িতদের শনাক্ত করতে সিন্ডিকেট সভায় প্রফেসর ড. এ কে এম মাইনুল হক মিয়াজীকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তিন কর্মদিবসের মধ্যে কমিটি অডিওসংক্রান্ত বিষয়ের মূল হোতাদের শনাক্ত করে প্রতিবেদন দেবে।’

শিক্ষক নিয়োগে ‘দরকষাকষি’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের অনিয়ম ও অস্বচ্ছতার অভিযোগ আগে থেকেই। এবার চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে নিয়োগের বিনিময়ে মোটা অঙ্কের টাকা আদায়ের চেষ্টার কয়েকটি ফোনালাপের ক্লিপ ফাঁস হয়েছে।

ফোনালাপের তিনটি ক্লিপ নিউজবাংলার হাতে এসেছে। এতে একজন আবেদনকারীর কাছ থেকে ১৬ লাখ টাকা দাবি করা হয়। বলা হয়, তৃতীয় শ্রেণির একটা চাকরির জন্য এখন ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা লাগে। মালি, প্রহরীর মতো চতুর্থ শ্রেণির চাকরির জন্য লাগে ৮ লাখ টাকা।

ফাঁস হওয়া ফোনালাপে উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের ‘ম্যানেজ’ করতেই অর্থের প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করা হয়।

চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে যারা কথা বলেছেন, তাদের মধ্যে একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য শিরীণ আখতারের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মোকাররম হোসেন রবীন, অন্যজন বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টস শাখার কর্মচারী আহমদ হোসেন এবং ফার্সি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী জসীম উদ্দিন বলে তথ্য মিলেছে।

তিনজনের ফোনালাপেই এই লেনদেনে উপাচার্য সম্পৃক্ত থাকবেন বলে দাবি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, উপাচার্য রাজি না থাকলে মন্ত্রী বা আরও বড় কেউ চাকরি দিতে পারবেন না।

তবে রবীন ও আহমদ হোসেন দাবি করেছেন, তারা কারও সঙ্গে এসব কথা বলেননি। এগুলো তাদের বিপদে ফেলার জন্য বানানো হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে উপাচার্যের বক্তব্য পাওয়া যায়নি তিনি ফোন ধরেননি বলে।

তবে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মনিরুল হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, অডিও ক্লিপটির বিষয়ের পর তারা হাটহাজারী থানায় অভিযোগ করেছেন। উপাচার্যের পিএস পদ থেকে মোকাররম হোসেন রবীনকে প্রত্যাহার করে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আর আহমদ হোসেনকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

এই নিয়োগ নিয়ে আগেও নানা অভিযোগ ছিল। এমনভাবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে ১০ দিন সময় দেয়া হলেও নিয়োগপ্রার্থীরা কার্যত কেবল এক দিন সময় পেয়েছেন। অনলাইনে আবেদনপত্র ডাউনলোডের সুযোগও দেয়া হয়নি। পরে একজন প্রার্থী উচ্চ আদালতে গেলে তার আবেদনের বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে বলা হলেও বিশ্ববিদ্যালয় তা করেনি।

এখানেই শেষ নয়, মৌখিক পরীক্ষার জন্য সবাইকে ভাইভা কার্ড না পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। আবার কার্ড ছাড়াই পরীক্ষা দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

আবার নিয়োগ বোর্ডে কোনো ফারসি বিশেষজ্ঞকে রাখা হয়নি। অভিযোগ উঠেছে, পছন্দের কোনো প্রার্থীকে নিয়োগ দিতেই এতসব করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর