বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জুতা না থাকায় স্কুল ত্যাগে বাধ্য হলো ছাত্রীরা

  •    
  • ৫ মার্চ, ২০২২ ১৯:০৫

পৌর শহরের নারায়ণপুর গ্রামের আনিসুর রহমান বলেন, ‘আমার মেয়ে বাড়িতে এসে কান্নাকাটি করলে আমি তার স্কুলে গিয়ে বিষয়টির প্রতিবাদ জানাই। পরে তাকে ক্লাসে নিয়ে বসায়।’

নির্ধারিত জুতা না পরায় ষষ্ঠ ও দশম শ্রেণির অর্ধশতাধিক ছাত্রীকে স্কুল থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে আখাউড়ার একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

শনিবার সকাল ৯টার দিকে পৌর শহরের নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। পরে অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করলে কয়েকজনকে ক্লাসে ফিরিয়ে নেয়া হয়।

বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, স্কুলের ক্লাসরুমে প্রবেশ করার আগে শিক্ষার্থীদের পোশাক ও জুতা পরীক্ষা করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ সময় সবার পরনে নির্ধারিত পোশাক থাকলেও তাদের অনেকের জুতা ছিল অন্য রঙের। কেউ কেউ আবার স্যান্ডেল পরেও এসেছিল।

এ অবস্থায় নির্ধারিত জুতা না পরা ছাত্রীদের স্কুল থেকে বের করে দেন প্রধান শিক্ষক দেবব্রত বণিক ও তার স্ত্রী স্কুলশিক্ষক শিখা রানী বণিক।

এদিকে স্কুল থেকে বের করে দেয়ার অপমানে অনেকেই বাড়ি গিয়ে কান্নাকাটি করলে তাদের অভিভাবকরা স্কুলের গেটে গিয়ে প্রতিবাদ করেন।

ওই বিদ্যালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক দাবি করেন, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক নিজের ইচ্ছামতো সব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। উনি আর ওনার স্ত্রী মিলে যে সিদ্ধান্ত নেন সবাইকে তা মানতে হয়। তাদের মধ্যে মানবিকতা বলে কিছু নেই। এর আগে দুর্নীতি ও অর্থ কেলেঙ্কারির দায়ে প্রধান শিক্ষকের বেতন-ভাতাও বন্ধ ছিল।

পৌর শহরের নারায়ণপুর গ্রামের আনিসুর রহমান বলেন, ‘আমার মেয়ে বাড়িতে এসে কান্নাকাটি করলে আমি তার স্কুলে গিয়ে বিষয়টির প্রতিবাদ জানাই। পরে তাকে ক্লাসে নিয়ে বসায়।’

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে প্রধান শিক্ষক দেবব্রত বণিক বলেন, ‘ক্লাসে স্কুলড্রেস ও নির্ধারিত জুতা পরে আসার জন্য নোটিশ দেয়া আছে। তা ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বিষয়টি অবগত করা হয়েছে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আক্তার বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তো মাত্র খুলল। এই সময়ে এত কঠোর হওয়া উচিত হয়নি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর