বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অনির্দিষ্টকালের জন্য বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

  •    
  • ৫ মার্চ, ২০২২ ১৭:৫৩

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত না করে সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ সদস্যের নামে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা করেছে কাস্টমস। মামলা প্রত্যাহারসহ কাস্টমস কর্মকর্তাদের হয়রানি বন্ধ না হলে বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখায় পণ্য চালান নেয়ার কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিসহ বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে শনিবার সকাল থেকে আমদানি-রপ্তানিসহ সব কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠন।

এই সিদ্ধান্তের ফলে দুই দেশের বন্দর এলাকায় পচনশীল পণ্যসহ শত শত পণ্যবাহী ট্রাক আটকা পড়েছে।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ

গত ২ মার্চ ভারত থেকে বন্ড লাইসেন্সের (শুল্কমুক্ত) মাধ্যমে আমদানীকৃত ডেনিম ফেব্রিক্সের ট্রাকে লুকিয়ে আনা প্রায় অর্ধকোটি টাকার শাড়ি, থ্রি-পিস, বাংলা মদ, ফেনসিডিল, বিদেশি সিগারেট, ওষুধ, কারেন্ট জালসহ বিপুল পরিমাণ ভারতীয় পণ্য আটক করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনার সঙ্গে ভারতীয় ট্রাকচালকরা সরাসরি জড়িত থাকলেও তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।

আমদানীকৃত ডেনিম ফেব্রিক্সের আমদানিকারক অনন্ত ডেনিম টেকনোলজি লিমিটেড ও ফ্যাশান ফোরাম লিমিটেড। এ ঘটনায় বুধবার বেনাপোলের শিমুল ট্রেডিং এজেন্সি ও আইডিএস গ্রুপ নামে দুটি সিঅ্যান্ডএফ লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করেছে বেনাপোল কাস্টম হাউস। পাশাপাশি সিঅ্যান্ডএফের কর্মচারীদের নামেও কাস্টমসের পক্ষ থেকে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা করা হয়।

এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের আটক না করে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের লাইসেন্স সাময়িক বাতিল ও কর্মচারীদের নামে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ৩ মার্চ সকালে বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন, ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতি এক যৌথসভায় আমদানি-রপ্তানিসহ কাস্টমস ও বন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়।

লাইসেন্স পুনর্বহাল, কাস্টমস কর্মকর্তাদের হয়রানি ও মামলা প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়া হয়।

কী বলছেন সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত না করে সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ সদস্যের নামে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা করেছে কাস্টমস। মামলা প্রত্যাহারসহ কাস্টমস কর্মকর্তাদের হয়রানি বন্ধ না হলে বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখায় পণ্য চালান নেয়ার কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতা বলেন, ‘ভারতীয় একশ্রেণির ট্রাকচালকরা অর্থের লোভে দীর্ঘদিন ধরে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে বৈধ আমদানি পণ্যের সঙ্গে চোরাচালানি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অবৈধ পণ্য পাচার করে আসছে। এর আগে অসংখ্য ট্রাক অবৈধ মালামালসহ বেনাপোল কাস্টমস বিজিবির হাতে ধরাও পড়েছে।

‘অন্যদিকে পেট্রাপোল বিএসএফ ও পুলিশ ভারতীয় ট্রাক থেকে স্বর্ণ, ডলার, পাসপোর্ট, মোবাইল, রুপার গয়নাসহ ট্রাকচালককে আটক করেছে। ভারতীয় ট্রাকচালক আটক হলেও বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ কোনো চালককে আটক না করে ছেড়ে দেয়। এখানে আমদানিকারক ও সংশ্লিষ্ট সিঅ্যান্ডএফকে দায়ী করা হয়। অথচ তারা এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। এ রকম ঘটনায় এরই মধ্যে ১০টি সিঅ্যান্ডএফ লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এসব ঘটনায় বন্দর ব্যবহারকারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে আমদানি-রপ্তানিসহ সব কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’

বেনাপোল কাস্টমসের ব্যাখ্যা

বেনাপোল কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার আব্দুল রশীদ মিয়া বলেন, ‘গত ২ ফেব্রুয়ারি মিথ্যা ঘোষণায় বৈধ চালানের আড়ালে ফেনসিডিল, সিগারেট, ভারতীয় মদসহ বিভিন্ন চোরাচালান পণ্যসহ বন্দর থেকে ভারতীয় একটি ট্রাক আটক করা হয়। এ অভিযোগে দুটি সিঅ্যান্ডএফ লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করে শোকজ করা হয়েছে।

‘অবৈধ পণ্য আমদানির অভিযোগে থানায় মামলাও করা হয়েছে। আমদানি-রপ্তানিসহ কার্যক্রম চলমান রাখতে সংশ্লিষ্ট বন্দর ব্যবহারকারীদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর