কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের আকাশে হঠাৎ ঘুড়ির ছড়াছড়ি। উড়ছে ডলফিন-মাছরাঙা-অক্টোপাসসহ বিভিন্ন আকৃতির ও নানা রঙের ঘুড়ি, যা দেখে মুগ্ধ দেশি-বিদেশি পর্যটকসহ শত শত মানুষ।
‘সমুদ্রসৈকত পরিচ্ছন্ন রাখুন’ এই স্লোগানে শনিবার বিকেলে সৈকতের লাবনী পয়েন্টে ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করে ‘ঢাকাবাসী সংগঠন’।
ঢাকা থেকে কক্সবাজারে এসেছেন রুবায়েদ হোসেন। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা ছোটবেলায় প্রচুর ঘুড়ি ওড়াতাম। এখন আর সেই খোলা আকাশ নেই। তাই বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতের মতো জায়গায় ঘুড়ি ওড়াতে পেরে খুব ভালো লাগছে। আমি মনে করি, প্রতি বছর এ ধরনের আয়োজন করা দরকার।’
সফিক রহমান নামে আরেক পর্যটক বলেন, ‘সমুদ্রের খোলা আকাশে ঘুড়ি ওড়াতে খুব ভালো লেগেছে। অনেক বছর পর ঘুড়ি উৎসবে অংশ নিত পেরে খুব আনন্দ হচ্ছে। বাংলা ঘুড়ির পাশাপাশি বেসাতি, ড্রাগন, ডেল্টাসহ অর্ধশতাধিক ঘুড়ি উড়তে দেখেছি।’
নুসরাত জাহান নামে একজন বলেন, ‘আমি চট্টগ্রাম থেকে এসেছি। ঘুড়ি ওড়াতে খুব ভালো লাগে। আগামীতেও এ উৎসব ধরে রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। পাশাপাশি সমুদ্রসৈকতের পরিবেশটা আরও ভালো করা উচিত।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বাঙালি জাতির ঐতিহ্য এ ঘুড়ি উৎসব। এটিকে ধরে রাখা আমাদের দায়িত্ব। আসা করব সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে এ উৎসব। পর্যটকদের যেকোনো উৎসব আনন্দে আমরা তাদের পাশে থাকব সব সময়।’
ঢাকাবাসী সংগঠনের সভাপতি শুকুর সালেহ বলেন, ‘১৯৯০ সাল থেকে দেশে ঘুড়ি উৎসব করে আসছে তারা। এরই ধারাবাহিকতায় সৈকতে ঘুড়ি উৎসব। আমরা আশা করি, প্রতি বছর আমরা উৎসবটি চলমান রাখতে পারব।’