চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে মাদ্রাসায় শিশুর গলাকাটা দেহ পাওয়ার পর মাজারের সম্মানের অজুহাতে লাশ অন্যত্র সরিয়ে নিতে চাপ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
নিউজবাংলাকে শনিবার দুপুরে এই অভিযোগের কথা জানান নিহত শিশুর চাচাতো ভাই মো. মুন্না।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, “মাদ্রাসায় মাশফির মরদেহ পাওয়ার পর ওরা (মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ) বলতেছিল, ‘এটা মাজার, সম্মানীয় জায়গা। লাশটা হাসপাতালে নিয়ে যান।’ আমার ভাইকে খুন করার পর বলছে, মাজারের সম্মান? আসলে এটা সম্মানীয় জায়গা না, এত বড় একজন আল্লাহর অলির নাম বিক্রি করে ওরা ব্যবসা করতেছে।”
মাদ্রাসার পরিচালক শহিদুল্লাহ ফারুকী অভিযোগের বিষয়ে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মাজারটি আল্লামা শাহ অছিয়ার রহমানের। মাদ্রাসাটা হয়েছে মাজার থেকে। আমরা তাদের এমন কিছু বলিনি, তবে এখানে তো অনেক মানুষ, তাদের কেউ বলে থাকতে পারে। শুরুতে আমরাও চাই এটার সঠিক তদন্ত হোক, প্রকৃত খুনির বিচার হোক।’
এর আগে বেলা ১১টার দিকে উপজেলার চরণদ্বীপ ইউনিয়নের আল্লামা শাহ আছিয়র রহমান হেফজখানা ও এতিমখানা থেকে শিশু ইফতেখার মালেকুল মাশফির গলাকাটা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
শিশুটি একই ইউনিয়নের ফকিরাখালী এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে।
বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল করিম বলেন, ‘মাদ্রাসার দ্বিতীয় তলায় ওই শিশুর গলাকাটা মরদেহ পাওয়া গেছে। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছি সকালে সবক দেয়ার পর থেকে ওই শিশু নিখোঁজ ছিল।’
ঘটনার পর পরই ক্ষুব্ধ জনতা মাদ্রাসার তিন শিক্ষককে একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখে। পরে বেলা ১টার দিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের হেফাজতে নেয় পুলিশ।
১৯২০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় আল্লামা শাহ আছিয়র রহমান মাজার। এই মাজার চত্বরে ২০০৮ সালে হয় আল্লামা শাহ আছিয়র রহমান হেফজখানা ও এতিমখানা। ২০১৭ সালে একই চত্বরে হয় আল্লামা শাহ আছিয়র রহমান অ্যাকাডেমি।