পটুয়াখালীর দুমকীতে বিএনপি ও যুবলীগের সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত দশ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
উপজেলা সদরের গ্রামীণ ব্যাংক সড়কে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার পরে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এ সংঘর্ষ বাধে।
পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে জানিয়ে দুমকী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সালাম বলেন, ‘আহতদের মধ্যে কনস্টেবল দেলোয়ার হোসেনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
সংঘর্ষের কারণ জানিয়ে ওসি বলেন, ‘যুবলীগ ও বিএনপির পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির জেরে এ সংঘর্ষ বাধে। এ সময় কনস্টেবল দেলোয়ার আহত হয়েছেন। এছাড়া শুনেছি উভয় দলের আরও ৭/৮জন আহত হয়েছেন।’
তবে বিএনপির দাবি, সংঘর্ষে তাদের অন্তত ৫০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছে।
এদিকে সংঘর্ষের জন্য উপজেলা বিএনপি ও যুবলীগ পরস্পরকে দায়ী করছেন।
জানা গেছে, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পূর্বনির্ধারিত বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দিতে শনিবার সকাল ১০টার দিকে জড়ো হতে থাকে দলটির নেতা-কর্মীরা। একই সময়ে সারাদেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রতিবাদে উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের একটি বিক্ষোভ মিছিল ওই এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল।
এ সময় দুই দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে শুর হয় সংঘর্ষ। এ সময় দুই দলের ইটপাটকেল নিক্ষেপে ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
একপর্যায়ে বিএনপির কার্যালয় ঢুকে চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে আধা ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মো. খলিলুর রহমান বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে যুবলীগের সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালিয়েছে, দলীয় অফিস ভাঙচুর করেছে।’ তার দাবি, এতে তাদের অন্তত ৫০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছে।
তিনিসহ উপজেলা বিএনপির আহত কয়েকজন নেতা-কর্মী দুমকী উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানান এ বিএনপি নেতা। অন্যরা হলেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক জাহিদ হাওলাদার, ফারুক হাওলাদার, যুবদলের সদস্য সচিব রিপন শরীফ, সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক শামীম হাওলাদার, শ্রমিকদলের সভাপতি হাবিবুর রহমান।
অপরদিকে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম তুহিন বলেন, ‘সারাদেশে জামায়াত-বিএনপির নৈরাজ্যের প্রতিবাদে যুবলীগের মিছিলে বিএনপির সন্ত্রাসীরা হামলা করে। এতে দুই পক্ষের সহিংসতা হয়। এতে আমাদের কয়েকজন আহত হয়েছে।’
দুমকী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সালাম বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। কোনো পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তারপরও বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।’