বান্দরবানে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন প্রাণ হারিয়েছেন। এ নিয়ে গত ১০ দিনে এই জেলায় খুন হলো আটজন।
সর্বশেষ ঘটনা ঘটেছে সদর উপজেলার তালুকদার পাড়ায় শনিবার দুপুর ১২টার দিকে।
নিহত অংনু মং মারমা পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সাবেক সদস্য বলে নিশ্চিত করেছেন বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল।
তিনি জানান, শনিবার দুপুরে তালুকদার পাড়ায় সশস্ত্র দুই দলের মধ্যে গোলাগুলি হয়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে অংনুর মৃত্যু হয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধারের জন্য গেছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার নোয়াপতং ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আলেচুপাড়ার পাহাড়ি ঝিরি থেকে এক নারীর গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের ধারণা, তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
তার আগে ২৬ ফেব্রুয়ারি একই উপজেলার সদর ইউনিয়নের নতুনপাড়া এলাকায় এক যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়।
স্থানীয়দের বরাতে ওসি জানান, মংসিং শৈ মারমা গোসল করার জন্য বাড়ির পাশের টিউবওয়েলে গেলে ৭ থেকে ৮ জন অস্ত্রধারী তাকে ব্রাশ ফায়ার করে।
মংসিং জেএসএসের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এ ঘটনার দুই দিন আগে রুমার গালেঙ্গ্যা ইউনিয়নের আবুপাড়ায় পাড়াপ্রধান লক্কুই ম্রো এবং তার চার ছেলে নুক্কুই ম্রো, লেং নি ম্রো, মেনু ওয়াই ম্রো ও রিং রাও ম্রোকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
গালেঙ্গ্যা ইউনিয়নের সচিব উবানু মারমা জানান, জুম চাষের জমি নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে পাড়াপ্রধান লক্কুই ম্রোর বিরোধ ছিল। ওই জমির বিষয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে বৈঠক বসে। বৈঠকে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে স্থানীয়রা লক্কুই ও তার চার ছেলেকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়।
ঘটনাস্থলেই পাড়াপ্রধান ও তার বড় ছেলে নুক্কুইয়ের মৃত্যু হয়। আহত তিনজনকে রুমা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে তারাও মারা যান।