বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাসদের কংগ্রেসে নতুন কমিটি ঘোষণা

  •    
  • ৪ মার্চ, ২০২২ ২১:৪৪

সমাবেশের মধ্য দিয়ে নতুন কমিটিকে পরিচয় করিয়ে দেন বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান। ১৪ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন বজলুর রশীদ ফিরোজ ও সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন।

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) প্রথম কংগ্রেসে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চের উন্মুক্ত মাঠে কংগ্রেসের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এই সমাবেশের মধ্য দিয়ে নতুন কমিটিকে পরিচয় করিয়ে দেন বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান।

১৪ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন বজলুর রশীদ ফিরোজ ও সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন।

সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হয়েছেন নিখিল দাস, আব্দুল কুদ্দুস, জনার্দন দত্ত নান্টু, রওশন আরা রুশো, আবদুর রাজ্জাক, সাইফুল ইসলাম পল্টু, ওয়াজেদ পারভেজ, নব কুমার কর্মকার, শফিউর রহমান, জুলফিকার আলী, শম্পা বসু ও মনীষা চক্রবর্ত্তী।

গত ২৮, ২৯, ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি এবং ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারিতে বাসদের প্রতিনিধি কাউন্সিলে সর্বসম্মতিতে ১৪ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি নির্বাচিত করা হয়। সেই কমিটিকে কংগ্রেস সমাবেশের মধ্য দিয়ে প্রকাশ করা হলো।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান।

বক্তব্য রাখেন শ্রীলঙ্কা থেকে আগত জনতা ভিমুক্তি পেরামুনার সাধারণ সম্পাদক কমরেড তিলভিন সিলভা, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক ও বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড রাজেকুজ্জামান রতন।

সমাবেশ পরিচালনা করেন বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও কংগ্রেস প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ।

সমাবেশে খালেকুজ্জামান বলেন, ‘বাসদের কংগ্রেস এমন একসময় অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন বিশ্বে দৃশ্যমান যুদ্ধ এবং নীরব যুদ্ধ চলছে। এই দুই যুদ্ধে আক্রমণ নেমে আসছে সর্বহারা মেহনতি মানুষের ওপর। কমরেড লেনিন বলেছিলেন, সাম্রাজ্যবাদ আছে মানেই যুদ্ধের আশঙ্কা থাকবে। অল্পস্বল্প যুদ্ধ, স্থানীয় যুদ্ধ, আঞ্চলিক যুদ্ধসহ বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধের মোকাবিলা করতে হচ্ছে বিশ্ববাসীকে।

‘পুঁজিবাদ-সাম্রাজ্যবাদ বাজার দখলের উন্মত্ততায় দুটো বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বে এমন দিন নেই যখন বিশ্বের কোথাও না কোথাও যুদ্ধ হচ্ছে। তবে যুদ্ধ যেখানেই হোক তার বলি নারী, শিশু, বৃদ্ধ এবং যুদ্ধের কারণে শোষিত হচ্ছে শ্রমজীবী মানুষ। বাংলাদেশেও তার ব্যতিক্রম নয়। ইউক্রেনের যুদ্ধ আর খাতুনগঞ্জের তেল-চিনি-ডালের মূল্যবৃদ্ধি একই সুতায় গেঁথে ফেলেছে ব্যবসায়ী পুঁজিপতিরা,’ যোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা বাংলাদেশে আজ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভূলুণ্ঠিত। যে ঘোষণার মাধ্যমে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিল তা ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা আর সামাজিক ন্যায়বিচার। আর স্বাধীনতার পর যে অঙ্গীকারনামা সংবিধানে রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতি হিসেবে লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল তা ছিল গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ। সবকিছুকে বুলিসর্বস্ব করে গত ৫০ বছর দেশ শাসিত হয়েছে, এখনও চলছে। সাম্যের বদলে বৈষম্যের আকাশ-পাতাল ফারাক তৈরি হয়েছে।’

সমাবেশে তিলভিন সিলভা বলেন, ‘দেশের অভ্যন্তরে এবং আন্তর্জাতিক যুদ্ধ চক্রান্তের বিষময় ফল ভোগ করছে শ্রীলঙ্কার জনগণ। জনগণকে বিভক্ত রাখা এবং লুণ্ঠন অব্যাহত রাখার এই দুই কৌশল শাসকগোষ্ঠী অব্যাহত রেখেছে। আমরা পুঁজিবাদী শোষণ আর সাম্রাজ্যবাদী লুণ্ঠনের বিরুদ্ধে শ্রমজীবী মানুষের পক্ষে লড়াই করে যাচ্ছি। এই লড়াইয়ে বিশ্বের মেহনতি মানুষ আমাদের বন্ধু।’

কংগ্রেসের পর দুই পার্টির ঐক্য-সংহতি ভ্রাতৃত্ব আরও দৃঢ় ও অটুট হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিলভিন সিলভা।

মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ শাসকগোষ্ঠীর চেহারা দেখেছে, দেখেছে তাদের প্রতারণা। বুলিসর্বস্ব মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিবর্তে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সব বামপন্থিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

সাইফুল হক বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের কোনো বিকল্প নেই। আন্দোলনের পথেই অধিকার আদায় এবং সরকারের পতনকে অনিবার্য করে তুলতে হবে।’

বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের ভূলুণ্ঠিত পতাকা ঊর্ধ্বে তুলে ধরতে হবে বামপন্থিদেরই। সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হলে পুঁজিবাদ উচ্ছেদ ও সমাজন্ত্রতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই। কৃষক ফসলের দাম পান না, ক্ষেতমজুরদের সারা বছর কাজ ও খাদ্যের নিরাপত্তা নেই।’

এ বিভাগের আরো খবর