ময়মনসিংহের ত্রিশালের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরীক্ষার নম্বরপত্রসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক নথি গায়েবের ঘটনায় তদন্ত কমিটি হয়েছে।
কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আহমেদুল বারীকে আহ্বায়ক করে বৃহস্পতিবার রাতে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. হুমায়ুন কবির।
কলা ভবনের নিচতলায় থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফারজানা নাজ স্বর্ণপ্রভার কক্ষ থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে নথি গায়েবের ঘটনা ঘটে।
রেজিস্ট্রার ড. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আমি প্রথম থেকেই ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখেছি। প্রথমে ভেবেছিলাম জিনিসপত্র গায়েব হওয়ার পরিষ্কার তথ্য দেবেন ওই শিক্ষক। তা না পাওয়ায় তদন্ত কমিটি করতে কয়েক দিন বিলম্ব হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।’
তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিস বিভাগের প্রধান মো. আল জাবির, প্রক্টর অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান ও সিকিউরিটি অফিসার রামিম আল করিম।
রেজিস্ট্রার জানান, ২৩ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টার দিকে কলা ভবনের নিচতলায় ব্যক্তিগত কক্ষে তালা দিয়ে বাসায় যান ফারজানা। পরদিন সকাল ১০টার দিকে তিনি ওই কক্ষে ঢুকে দেখেন জানালার কাচ ভাঙা, অফিশিয়াল গোপনীয় নথি, একাধিক শিক্ষাবর্ষের নম্বরপত্র, পরীক্ষার উত্তরপত্র, উপস্থিতি রেজিস্ট্রার খাতা ও পেনড্রাইভ নেই। সেখানে স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র এলোমেলো পড়ে ছিল।
ওই দিনই ত্রিশাল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন ফারজানা।
ফারজানা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সেদিন শিক্ষার্থীদের রিহার্সাল করাতে অনেক রাত হয়। পরদিন সকালে অফিসে চলে আসব ভেবে গুরুত্বপূর্ণ নথি সেখানেই রেখে যাই। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই আমার সঙ্গে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।’
থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. আল জাবির বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার থাকে। এই পরিস্থিতিতে কারও অফিশিয়াল কক্ষ থেকে কিছু চুরি হওয়ার কথা নয়। এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’
ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইন উদ্দিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে এত নিরাপত্তা থাকার পরও এমন ঘটনা সন্দেহজনক। এটি চুরি নাকি অন্য কোনো ঘটনা তা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। মূল ঘটনা উদ্ঘাটনের চেষ্টা চলছে।’