করোনাভাইরাস সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ শুরু হলে চলতি বছর তৃতীয় সর্বনিম্ন রোগী শনাক্তের খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৬০৪ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। গত ২ ফেব্রুয়ারি দেশে শনাক্ত হয়েছিল ৫৫৭ জন। এই সময়ে অবশ্য দেশের ১০ জেলায় কোনো রোগী পাওয়া যায়নি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর শুক্রবার বিকেলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮ হাজার ৮৯০ নমুনা পরীক্ষা করেছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তে হার ৩ দশমিক ২০ শতাংশ, যা গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল ২ দশমিক ৯১ শতাংশ।
এ নিয়ে টানা সাত দিন পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকল, যা করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার প্রমাণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী টানা ১৪ দিন তা ৫ শতাংশের নিচে থাকলে করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে।
সব মিলিয়ে ভাইরাসটিতে এখন পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছেন ১৯ লাখ ৪৬ হাজার ৩৬৯ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৮ লাখ ৩৫ হাজার ৯৮০ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা আগের ২৪ ঘণ্টায় ছিল ৫ জন।
সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মারা গেছেন ২৯ হাজার ৬৪ জন। গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে পুরুষ তিন ও নারী তিন জন।
ঢাকা বিভাগের তিন জন, চট্টগ্রামের দুজন ও সিলেটে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
গত ২০ জানুয়ারি করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর আরও আট দিন সংক্রমণ ছিল ঊর্ধ্বগামী। ২৮ জানুয়ারি শনাক্তের হার রেকর্ড গড়ার পরদিন থেকেই তা নিচের দিকে নামতে থাকে।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায় প্রথমবারের মতো। একপর্যায়ে পরীক্ষার বিবেচনায় রোগীর অনুপাত ৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যাওয়ার পর ঢেউ ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়।
২০২১ সালের শুরুর দিকে করোনার এই ঢেউ নিয়ন্ত্রণে এলেও মার্চে আবার দ্বিতীয় ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে। সেটি নিয়ন্ত্রণে আসে অক্টোবরের শুরুতে। তখন থেকে চলতি বছরের শুরু পর্যন্ত পরিস্থিতি ছিল নিয়ন্ত্রণে।
তবে গত ৭ জানুয়ারি সংক্রমণের হার আবার ৫ শতাংশ ছাড়িয়ে তৃতীয় ঢেউ ছড়ানোর প্রাথমিক প্রমাণ মেলে। সেখান থেকে টানা প্রায় তিন সপ্তাহ বাড়ে সংক্রমণ।
করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় গত মাসে স্কুল, কলেজে ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ফের সশরীরে ক্লাস শুরু হয়েছে। বুধবার প্রাথমিকেও ক্লাস শুরু হলো। তবে এখনও অপেক্ষায় থাকতে হবে প্রাক-প্রাথমিকে। চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে ছোট্টমণিদেরও সশরীরে ক্লাস শুরু হতে পারে।