গত কয়েকদিন থেকে বাজারে তেলের মূল্যবৃদ্ধি, অন্য সব নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগে গণ অধিকার পরিষদের মিছিলে পুলিশের লাঠিপেটায় কয়েকজন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ৩টার পর একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শাহবাগ মোড়ে গেলে গণ অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের বাধা দেয় পুলিশ। সেখানেই একসময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন দলটির নেতাকর্মীরা।
পরে পুলিশ কয়েকজনের ওপর লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দিতে শুরু করে।
সেখানে এখন পর্যন্ত তিনজনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত গণ অধিকার পরিষদের এক নারী কর্মী। ছবি: সাইফুল ইসলাম
করোনাভাইরাস সংক্রমণ, বিশ্ব বাজারে অস্থিরতায় দেশে চাল, ডাল, তেলসহ অন্য সব প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। এমন অবস্থায় বিভিন্ন দল ও সংগঠন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে। এরই মধ্যে এর প্রতিবাদে দেশব্যাপী বিক্ষোভ করেছে বিএনপি।
পুলিশের লাঠিপেটায় আহত কর্মীকে নিয়ে যাচ্ছেন অন্য কর্মীরা। ছবি: সাইফুল ইসলাম/নিউজবাংলা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি ও গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুরের দলটি শুক্রবার বিক্ষোভের ডাক দেয়।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশের কথা থাকলেও সেখানে সমাবেশ করতে পারেনি গণ অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা। পরে তারা মিছিল নিয়ে রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে গিয়ে সড়কের উপর বসে পড়েন।
শহীদ মিনারে যাওয়ার সময় শাহবাগে পুলিশের বাধার মুখে পড়লে সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি জাতীয় প্রেস ক্লাব, পল্টন, গুলিস্তান পর্যন্ত যায়। এরপর গুলিস্তান থেকে ফের পল্টন, বিজয়নগর হয়ে কাকরাইল মোড়ে সড়কের উপর বসে পড়ে নেতাকর্মীরা।
এ সময় নেতা-কর্মীরা ‘৩০ টাকায় চাল দে, নইলে গদি ছেড়ে দে’ এমন স্লোগান দিতে থাকে।
গণ অধিকার পরিষদের আহত এক কর্মীকে নিয়ে যাচ্ছেন অন্য কর্মীরা। ছবি: সাইফুল ইসলাম/নিউজবাংলা
ছাত্র অধিকার পরিষদের সরকারি বাংলা কলেজের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম শান্ত নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আজকে আমাদের কর্মসূচি ছিল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। যখন শাহবাগ হয়ে আমরা শহীদ মিনারের দিকে যাচ্ছিলাম, তখন শাহবাগে পুলিশ বাধা দেয়। সেখানে পুলিশের সঙ্গে আমাদের সংঘর্ষ হয়। তাৎক্ষণিকভাবে আমরা ২ জনকে আহত হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। পরে আমরা মিছিল নিয়ে প্রেস ক্লাব, পল্টন হয়ে গুলিস্তান, এরপর গুলিস্তান থেকে নয়া পল্টনের দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে যাই।’
শাহবাগ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অপরেশন) কামরুজ্জামান বলেন, ‘হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি। তারা প্রেস ক্লাব থেকে শাহবাগ হয়ে ক্যাম্পাসে আসছিল। আমরা তাদের ঘুরিয়ে দিয়েছি। এরপর তারা ফের মৎস্য ভবন হয়ে প্রেস ক্লাবের দিকে চলে গেছে।’