গোপালগঞ্জ সদরের উরফি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিরোধের জেরে প্রতিদ্বন্দ্বী পরাজিত প্রার্থীর বাড়িতে হামলার ঘটনায় মামলায় পাঁচ আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
গোপালগঞ্জের হাকিম আদালত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই পাঁচজনকে কারাগারে পাঠায়।
এর আগে বিকেলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের আটক করে পুলিশ। পরে মামলা হলে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন, ইকবাল গাজী, ওয়াসিম গাজী, ফরিদ গাজী, বোরহান গাজী ও রাতুল চৌধুরী।
নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার এসআই অজিত কুমার সরকার বলেন, আহত নাইচ গাজীর বাবা দাউদ উর রহমান গাজী ঘটনার পরই মামলা করেন।
গোপালগঞ্জ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, হামলার ঘটনায় সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল গাজীসহ ২১ জনকে আসামি করে থানায় মামলায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় ৫ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এ দিকে হামলায় জখম নাইচ গাজী হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন বলে জানা গেছে।
এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনায় আহত হয়ে তিনি বর্তমানে সংকটপূর্ণ অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নাইচ গাজীর ভাই মাহফুজ গাজী জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় আনা হয়। সেখানে রাত ১০টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত চলে অস্ত্রপচার। তার অবস্থা এখনও সংকটাপূর্ণ বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ইউনিয়নের ডুমদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, গত ৫ জানুয়ারি উরফি ইউনিয়ন পরিষদ ভোটে নাইচ গাজী ও ইকবাল গাজীকে পরাজিত করে একই গোষ্ঠীর মনির গাজী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। নাইচ ও ইকবাল আপন চাচাতো ভাই।
স্থানায়ীরা জানান, নিজ বাড়িতে মাদ্রাসার ছাত্রদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেন নাইস গাজী। দুপুরে ইকবাল গাজী ও তার ভাইয়েরা ওই বাড়িতে হামলা চালিয়ে তৈরি খাবার নষ্ট করেন। এ সময় একটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে।
পরিবারের লোকজন বাধা দিলে নাইচ গাজী, তার মা নুরজাহান বেগম ও ছোট ভাই মাসুম গাজীকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়।
এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। নাইচ গাজীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় নেয়া হয়।
ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’