বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনায় পড়ালেখায় কতটা ক্ষতি হয়েছে?

  •    
  • ৪ মার্চ, ২০২২ ১৩:০৪

গবেষণা করবে সরকার। এর অংশ হিসেবে ২০২১ সালে অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের আবারও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। বাংলা, ইংরেজি ও গণিত – এ তিন বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে অনলাইনে। যদিও এ পরীক্ষার ফল শুধু গবেষণা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ব্যবহার করা হবে।

করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় ঘাটতির প্রকৃত অবস্থা নিরূপণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর জন্য গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বাংলাদেশ পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিটকে।

এ গবেষণার অংশ হিসেবে ২০২১ সালে অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের আবারও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। বাংলা, ইংরেজি ও গণিত– এ তিন বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে অনলাইনে। যদিও এ পরীক্ষার ফল শুধু গবেষণা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ব্যবহার করা হবে।

২০২০ সালের মার্চে করোনার প্রাদুর্ভাবের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয় দুই দফায়। প্রথম দফায় প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করে শিক্ষাঙ্গনের বন্ধ দুয়ার। শুরুতে সশরীরে ক্লাস চালু হয় মাধ্যমিক স্কুলে। এরপর কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে, সবার পর প্রাথমিকে।

করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে দ্বিতীয় দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সশরীরে ক্লাস বন্ধ করে দেয়া হয় গত ২১ জানুয়ারি। এই দফায় তা বন্ধ থাকে প্রায় দেড় মাস। ২২ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় আবার প্রাণচঞ্চল হয়ে ওঠে। তবে প্রাথমিকে ক্লাস শুরু হয় ২ মার্চ থেকে, যদিও সপ্তাহে প্রতিদিন সব শ্রেণিতে ক্লাস হচ্ছে না।

জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা কী পরিমাণ শিক্ষা ঘাটতির সম্মুখীন হয়েছে, তা গবেষণার জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বাংলাদেশ পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিটকে। তাদের গবেষণার ফলের ওপর ভিত্তি করে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।’

বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন শিক্ষাবিদরাও। তারা বলছেন, এই গবেষণা কার্যক্রমের ফলে করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষণ ঘাটতির প্রকৃত অবস্থা উঠে আসবে।

জানতে চাইলে শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি মনে করি এ উদ্যোগ ইতিবাচক। এর মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষণ ঘাটতির প্রকৃত চিত্র উঠে আসবে। এরপর এ গবেষণার ওপর ভিত্তি করে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।’

একই কথা বললেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সৈয়দা তাহমিনা আক্তার। তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে, এ কথা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। এখন যেহেতু পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে, তাই শিক্ষণ ঘাটতি মেটাতে উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। আশা করি গবেষণা কার্যক্রমের যে উদ্যোগ মাউশি নিয়েছে, তা সফল হবে।’

মাউশির এক অফিস আদেশ থেকে জানা যায়, শিখন ঘাটতি নিরূপণের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীদের অনলাইন পরীক্ষার জন্য বিষয়ভিত্তিক (বাংলা, ইংরেজি, গণিত) প্রশ্নপত্রও তৈরি করা হয়েছে, যা দেশের আইএলসি ল্যাব সুবিধা আছে এমন ৬৮০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গুগল ফর্মে অনুষ্ঠিত হবে।

অফিস আদেশে আরও বলা হয়, চলতি মাসের ৬ তারিখে বাংলা, ৭ তারিখে ইংরেজি এবং ৮ তারিখে গণিত বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

করোনার কারণে গত বছর ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণিতে বার্ষিক পরীক্ষা হয় কেবল তিন বিষয়ে– বাংলা, ইংরেজি ও সাধারণ গণিত। এ ছাড়া দশম শ্রেণির নির্বাচনি পরীক্ষা নেয়া হয়।

তিনটি বিষয়ের মধ্যে বাংলা ও সাধারণ গণিতে ৩৫ নম্বর ছিল লিখিত পরীক্ষায়, ১৫ নম্বর ছিল এমসিকিউতে। আর ইংরেজিতে প্রথম পত্রে ছিল ৩০ নম্বর ও দ্বিতীয় পত্রে ২০ নম্বর। এর সঙ্গে অ্যাসাইনমেন্টে ছিল ৪০ ও স্বাস্থ্যবিধিতে ১০ নম্বর। প্রতিটি পরীক্ষার সময় ছিল দেড় ঘণ্টা।

এ বিভাগের আরো খবর