যশোরে শারমিন ও কবির নামে দুই শিশুকে হত্যার দায়ে সিরাজুল ইসলাম নামে এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। এ মামলায় অন্য আসামিদের খালাস দেয়া হয়।
যশোরের অতিরিক্ত দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক মোস্তফা কামাল বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট আবু সেলিম রানা ও অ্যাডভোকেট বিমল কুমার রায়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, আসামি সিরাজুল ইসলাম বর্তমানে পলাতক। সাক্ষ্যপ্রমাণে তার বিরুদ্ধে দুই শিশুকে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন।
অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় সিরাজুলের স্ত্রী শিরিনা বেগম, মা আরফা খাতুন ওরফে আরিফা ও চাচি করিমন নেছাকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।
মামলায় জানা যায়, যশোর মনিরামপুরের বাটবিলা গ্রামের মোমিন সরদারের ছেলে সিরাজুল। একই গ্রামের জমির সরদারের সঙ্গে সিরাজুলের বিরোধ চলছিল ছয় বিঘা জমি নিয়ে। ২০১২ সালের ২৯ জানুয়ারি জমিটিতে বেড়া দেয়া নিয়ে দুই পক্ষের তর্ক হয়। একপর্যায়ে সিরাজুল একটি ধারালো গাছি দা নিয়ে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা জমির সরদার ও তার স্ত্রী এবং বড় ভাবিকে আঘাতের চেষ্টা করেন। তারা দৌড়ে পালিয়ে যান।
এ সময় রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা জমিরের মেয়ে শারমিনকে কুপিয়ে হত্যা করেন সিরাজুল। পরে ধাওয়া করে ওই পরিবারের আরেক শিশু কবির হোসেনকে পাশের পুকুরপাড়ে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন।
স্থানীয়রা ধাওয়া করে সিরাজুলকে ধরতে পারেননি। তখন তারা সিরাজুলের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেন। জোড়া খুনের এ ঘটনায় জমির সরদার বাদী হয়ে সিরাজুল ইসলামসহ ৬ জনকে আসামি করে মনিরামপুর থানায় মামলা করেন।
পুলিশ তদন্ত শেষে সিরাজুলসহ চারজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেয়। সে মামলাতেই বৃহস্পতিবার রায় হয়।