বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘ছাত্রলীগ না করায়’ মারধর: তদন্ত প্রতিবেদন জমা

  •    
  • ৪ মার্চ, ২০২২ ০০:৫৪

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. সাইফুল কবির বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেয়েছি। এটি সিলগালা অবস্থায় আছে। রোববার শৃঙ্খলা কমিটির কাছে প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হবে। এটি পড়ে তারা ব্যবস্থা নেবেন।’

ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ছাত্রলীগ না করায়’ এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ তদন্ত প্রতিবেদন জমা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. সাইফুল কবির নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেয়েছি। এটি সিলগালা অবস্থায় আছে। নিয়ম অনুসারে শৃঙ্খলা কমিটি ছাড়া তা খোলা যাবে না। শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর দে।

‘রোববার শৃঙ্খলা কমিটির কাছে প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হবে। তারা এটি পড়ে ব্যবস্থা নেবেন।’

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে ওয়ালিদ নিহাদ নামের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে ছাত্রলীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে। তিনি লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

ওয়ালিদ নিহাদ নিউজবাংলাকে জানান, ওইদিন রাত দেড়টার দিকে তাকে ডেকে নেয়া হয় বঙ্গবন্ধু হলের একাত্তর ব্লকের ৩২৪ নম্বর কক্ষে। সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের পলাশ তাকে ডেকে নেন। রুমটিতে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে তাকে থাপ্পড় মারেন নাট্যকলা বিভাগের হিমেল। এরপর তুহিন, মুমিন, অ্যালেক্স সাব্বির, তানভীরসহ অন্তত ১০ জন তাকে লাথি-ঘুষি মারতে থাকেন। বুকের ওপর দাঁড়িয়ে মেরেছেন ফোকলোর বিভাগের আবু নাঈম আব্দুল্লাহ। রাত আড়াইটার দিকে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, ‘ছাত্রলীগ না করার কারণে আমাকে ডাকা হয়। পারিবারিক সমস্যার কারণে আমার রাজনীতি করা সম্ভব নয়। আমি পড়াশোনা নিয়েই থাকতে চাই। কিন্তু আমাকে ক্যাম্পাসে থাকতে হলে ছাত্রলীগ করতে হবে বলে হুমকি দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় কোনো শিক্ষকের কাছে বিচার চাইতেও নিষেধ করা হয়।

‘বেশি কথা বললে ক্যাম্পাসে থাকতে পারব না, বুয়েটের আবরার ফাহাদের মতো মরতে হবে- এমন হুমকি দেয়া হয়েছে।’

এ নির্যাতনের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধানের কাছে।

ঘটনার পরদিন চারুকলা বিভাগের অধ্যাপক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হলের প্রভোস্ট মাসুম হাওলাদারকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ছাত্র উপদেষ্টা তপন কুমার সরকার ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। সে মোতাবেক বৃহস্পতিবার রাতেই কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।

শিক্ষার্থী নির্যাতনের পরদিন দুপুর থেকেই ক্যাম্পাসে উত্তেজনা চলে। এ সময় প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে তারা প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করেন।

ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রশাসনিক ভবনের সামনে প্রতীকী অনশনে অংশ নেন শিক্ষার্থীরা। তারা ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।

এ বিভাগের আরো খবর