বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সামনে উচ্ছেদ পেছনে দখল

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৪ মার্চ, ২০২২ ০০:৫৬

রাস্তা তৈরির জন্য দোকানের সামনের অংশ ভাঙা পড়ায় ব্যবসায়ীরা এখন নিয়েছেন ভিন্ন কৌশল। তারা দোকানের পেছনের দিকে গণপূর্তের নামে অধিগ্রহণ করা সরকারি জমি দখলে নিয়ে অবৈধভাবে দোকান ঘর ও বহুতল ভবন তুলছেন।

দখলের উৎসব থামছে না নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীতে। একদিকে উচ্ছেদ অভিযান হলে দখল চলছে অন্যদিকে। শত কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি এভাবেই কব্জা করে রেখেছেন প্রভাবশালীরা।

সরেজমিন দেখা যায়, শহরের বিভিন্ন স্থানে গণপূর্ত বিভাগের জায়গা দখল করে চলছে দোকান ও ভবন নির্মাণের কাজ। এসব অবৈধ দোকান ঘর ও ভবন ১০ দিনের মধ্যে অপসারণের জন্য গণপূর্ত বিভাগ থেকে নোটিশ দেয়া হলেও তা কাজে আসছে না। নিষেধাজ্ঞার মাঝেই রাত-দিন নির্মাণ কাজ চলছে।

ফোর লেন সড়ক তৈরির জন্য শহরের প্রধান সড়কের পশ্চিম পাশে আমানিয়া হোটেল থেকে বকশি মিজির পোল পর্যন্ত কিছুদিন আগেই চলেছে উচ্ছেদ অভিযান। সেখানে ছোট-বড় দুই শতাধিক দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনের অংশ থেকে প্রায় ৩০ ফুট করে ভাঙা পড়েছে। এজন্য অবশ্য সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ দেয়া হচ্ছে।

রাস্তা তৈরির জন্য দোকানের সামনের অংশ ভাঙা পড়ায় ব্যবসায়ীরা নিয়েছেন ভিন্ন কৌশল। তারা দোকানের পেছন দিকে গণপূর্তের নামে অধিগ্রহণ করা সরকারি জমি দখলে নিয়ে অবৈধভাবে দোকান ঘর ও বহুতল ভবন তুলছেন।

দখলদারদের থাবা থেকে বাদ যাচ্ছে না ডোবাও। কৌশলে ভরাট করা হচ্ছে সরকারি ডোবা। তাতে পরিবেশ বিপর্যয়ের পাশাপাশি বর্ষা মৌসুমে শহরে জলাবদ্ধতা তৈরির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

গণপূর্ত বিভাগ জানায়, শহরের প্রধান সড়কের পশ্চিম পাশে আমানিয়া হোটেল থেকে বকশি মিজির পোল পর্যন্ত গণপূর্তের ২ একর ৯৮ শতাংশ ভূমি আছে। বার বার নিষেধ করার পরও দখলদাররা নিজ নিজ দোকানের পেছনে সেসব জায়গা অবৈধভাবে দখল করে স্থাপনা বানাচ্ছেন।

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি এমন ১৬৪ জন দখলদারকে স্থাপনা সরিয়ে নিতে ১০ দিনের নোটিশ দেয়া হয়েছে বলে জানান কর্মকর্তারা।

শহরের বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, উচ্ছেদ ও দখলের খেলা চলছে গণপূর্ত বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই। সরকারি জায়গা প্রকাশ্যে দখল করে ঘরবাড়ি তৈরি করা হচ্ছে। তাতে বাধা দিতে দেখা যাচ্ছে কম।

ব্যবসায়ী মতিউর রহমান সিদ্দিকী বলেন, ‘আমার অংশের জায়গা অনেকটাই দখল করেছে একটি চক্র। গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের জানিয়ে প্রতিকার পাইনি। তারা আর্থিক সুবিধা নিয়ে এসব না দেখার ভান করছেন।'

চান্দিনা ভিটা মালিক সমিতির সভাপতি মোখসুদুল হক বলেন, ‘সোনাপুর পুরাতন শহর ভাঙনে পড়লে ১৭২ জন দোকানদারের প্রত্যেককে পুনর্বাসনে ১০ ফুট বাই ৬৫ ফুট জায়গা সরকার বন্দোবস্ত দেয়। প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সই করা নকশা আমাদের কাছে আছে। এর বাইরে অন্য দোকান হয়েছে জায়গা দখলে নিয়ে।’

গণপূর্ত বিভাগ নোয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামরুল হাসান বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি। চিঠি দিয়েছি, পুলিশ পাঠিয়েছি বহুবার। এসব দখল তো নোয়াখালীর মানুষই করছে, অন্য এলাকা থেকে কেউ আসছে না। তারা না সরলে আমাদের কতোটুকুই বা করার আছে।’

দখলদারদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অনেক ব্যবস্থা নিয়েছি, আমার কাছে ডকুমেন্ট আছে।’

জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জনপ্রতিনিধিদের সাথে বসছি। প্রয়োজনে আমরা গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলীকে নিয়ে উচ্ছেদে যাব।’

এ বিভাগের আরো খবর