দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন সংশোধন করতে সকল পক্ষের ওপর চাপ অব্যাহত রাখার পাশাপাশি দেশ থেকে ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করা জরুরি বলে মনে করেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক সেমিনারে অংশ নিয়ে এই মন্তব্য করেন তিনি।
‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন’ বিষয়ে সেমিনারের আয়োজন করে ‘বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং’ নামে একটি সংগঠন।
রুহুল হক বলেন, ‘আমরা সবাই বলেছি, তামাকের বিরুদ্ধে আমরা কাজ করছি। পাশাপাশি পরিকল্পনামন্ত্রীকে বলে রাখি, আমাদের দেশে ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করা জরুরি। আমরা সকলেই এ ব্যাপারে একমত।’
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, দেশের ৩৫ দশমিক ৩ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ কোনো না কোনো তামাক ব্যবহার করেন। তামাকজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে বছরে মৃত্যুবরণ করেন ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ। তামাকের এই ভয়াবহতা উপলব্ধি করে আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন সংশোধন করতে সব পক্ষের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে হবে।
সেমিনারের সভাপতি ও আয়োজন সংগঠনের প্রধান সংসদ সদস্য হাবিবে মিল্লাত জানান, ‘ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করার দাবিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর ১৫৩ জন এমপির চিঠি, তামাক আইন সংশোধনের দাবিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নিকট ১৫২ জন সংসদ সদস্যের চিঠি দেয়া হয়েছে।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী, সংসদ সদস্য শামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, সৈয়দা রুবিনা আক্তার এমপি, অপরাজিতা হক, শবনম জাহান এবং উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগমও সেমিনারে বক্তব্য রাখেন।