গোপালগঞ্জ সদরের উরফি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিরোধের জেরে পরাজিত প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীর বাড়িতে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগে বলা হয়, গত নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ইকবাল গাজী লোকজন নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নাইচ গাজীসহ তিনজনকে কুপিয়ে জখম করেছেন।
এ সময় বাড়িঘর ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পুলিশ এ ঘটনায় ইকবাল গাজীসহ তিনজনকে আটক করেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওই ইউনিয়নের ডুমদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
৫ জানুয়ারি উরফি ইউনিয়ন পরিষদ ভোটে রইস গাজী ও ইকবাল গাজীকে পরাস্ত করে একই গোষ্ঠীর মনির গাজী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। নাইচ ও ইকবাল আপন চাচাতো ভাই। নির্বাচনি বিরোধ দুপুরে সংঘাতে রূপ নেয়।
স্থানায়ীরা জানান, নিজ বাড়িতে মাদ্রাসার ছাত্রদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেন চেয়ারম্যানপ্রার্থী নাইচ গাজী। দুপুরে ইকবাল গাজী ও তার ভাইয়েরা ওই বাড়িতে হামলা চালিয়ে তৈরি খাবার নষ্ট করেন। এ সময় একটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে।
পরিবারের লোকজন বাধা দিলে নাইচ গাজী, তার মা নুরজাহান বেগম ও ছোট ভাই মাসুম গাজীকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়।এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। নাইচ গাজীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইকবাল গাজীসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
অভিযোগ পেলে এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ওসি।