বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

উপকূলীয় জেলেদের উন্নয়নে জাপানের পাইলট প্রকল্প

  •    
  • ৩ মার্চ, ২০২২ ২০:৪৪

প্রস্তাবিত প্রকল্পটি কক্সবাজারের পাঁচ উপজেলায় বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নিয়েছে জাইকা। এর মাধ্যমে মৎস্য খাতের ভ্যালু চেইন উন্নয়ন, সামুদ্রিক মৎস্য প্রক্রিয়াকরণ, প্রশিক্ষণ, মৎস্য ব্যবস্থাপনা, পুষ্টিমান উন্নয়ন এবং খাতসংশ্লিষ্টদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে কারিগরি সহায়তা দিতে চায় উন্নয়ন সংস্থাটি।

উপকূলীয় এলাকায় মৎস্যজীবীদের জীবনমান উন্নয়নে সহায়তা দিতে চায় জাপান। সে লক্ষ্যে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) একটি পাইলট প্রকল্প প্রস্তাব করেছে।

সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের সঙ্গে এক বৈঠকে এ প্রস্তাব দেন বাংলাদেশে জাইকার প্রধান ইয়োহো হায়াকাওয়া।

প্রস্তাবিত প্রকল্পটি পাঁচ বছরে কক্সবাজারের টেকনাফ, উখিয়া, সদর, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া উপজেলায় বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নিয়েছে জাইকা। এ প্রকল্পের মাধ্যমে মৎস্য খাতের ভ্যালু চেইন উন্নয়ন, সামুদ্রিক মৎস্য প্রক্রিয়াকরণ, আর্থসামাজিক জরিপ সম্পাদন, প্রশিক্ষণ প্রদান, সি ফুড প্রক্রিয়াকরণ, মৎস্যসম্পদ ব্যবস্থাপনা, পুষ্টিমান উন্নয়ন এবং মৎস্য খাতসংশ্লিষ্টদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে কারিগরি সহায়তা দিতে আগ্রহের কথা জানায় উন্নয়ন সংস্থাটি।

বৈঠক শেষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘জাপান বাংলাদেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বন্ধুরাষ্ট্র। দুই দেশের জনগণ ও সরকারের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। কারিগরি সহায়তা ছাড়াও বাংলাদেশের মৎস্য খাতে জাপানের সহযোগিতা বৃদ্ধির অনেক সুযোগ রয়েছে। আমাদের বিস্তীর্ণ উপকূলীয় অঞ্চল রয়েছে।

‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ভূখণ্ডের প্রায় সমপরিমাণ সমুদ্র এলাকায় আমাদের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ফলে সুনীল অর্থনীতির নবদিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে সুনীল অর্থনীতি বাংলাদেশের উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে যাচ্ছে। এ খাতে দুই দেশের অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান বিনিময়ের সুযোগ আছে। সি-উইড, খনিজ সম্পদ, সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদসহ সুনীল অর্থনীতির নানা সম্ভাবনা উন্মোচনে বাংলাদেশ ও জাপানের যৌথভাবে কাজ করার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের অত্যন্ত অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার সব সময় জাপানের মতো দেশের বিনিয়োগকে উৎসাহ দিয়ে থাকে। জাপান ও জাইকা বাংলাদেশের সামুদ্রিক এলাকায় মৎস্যসম্পদ অনুসন্ধানসহ নানা খাতে বিনিয়োগ করতে পারে।’

ইয়োহো হায়াকাওয়া বলেন, ‘জাইকা কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় মৎস্যজীবীদের জীবনমান উন্নয়নে সহায়তা দিতে চায়। এর মাধ্যমে কক্সবাজারের ক্ষুদ্র মৎস্যজীবীদের আয়বর্ধক কাজে অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

‘সি-উইড প্রক্রিয়াকরণ, অ্যাকুয়াকালচার, মৎস্যজাত পণ্য বাজারজাতকরণ ও মৎস্যসম্পদ ব্যবস্থাপনায় কারিগরি সহায়তা দিতে জাইকা প্রস্তুত রয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের মৎস্য খাতে জাইকার বিনিয়োগের আরও ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর