ঝালকাঠির রাজাপুরে শাপলাপাতা মাছ বিক্রির সময় ব্যবসায়ীকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
উপজেলার বাঘরি মাছ বাজারে বৃহস্পতিবার সকালে অভিযান চালিয়ে জব্দ করা হয় ওই মাছ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ড পাওয়া মাছ ব্যবসায়ী মো. মাইনুদ্দিন পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার ভিটাবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা।
উপজেলা বন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেনও ছিলেন ওই অভিযানে। তিনি জানান, শাপলাপাতা মাছ ধরা ও বিক্রি করা নিষিদ্ধ। কারণ এটি বিপন্ন প্রজাতির রে ফিশ গোত্রের মাছ।
স্থানীয় সংগঠন ‘অ্যানিমেল লাভার্স অফ ঝালকাঠি’র সদস্য তুহিন তাওহীদ জানান বাঘরি বাজারে ওই মাছ বিক্রি হচ্ছে বলে তারাই প্রশাসনে খবর দেয়।
তুহিন বলেন, ‘বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক এ এস এম জহির উদ্দিন আকন এবং বন্যপ্রাণী পরিদর্শক অসীম মল্লিকের পরামর্শ অনুযায়ী আমরা বন্যপ্রাণী রক্ষায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিই, তথ্য দিয়ে প্রশাসনকে সহযোগিতা করে থাকি। এরই অংশ হিসেবে রাজাপুরে বিপন্ন প্রজাতির বিশালাকৃতির শাপলাপাতা মাছটি জব্দ করা সম্ভব হয়েছে।’
ইউএনও মোক্তার জানান, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী বিলুপ্তপ্রায় এ মাছ শিকার ও বাজারজাত করা দণ্ডনীয় অপরাধ। তাই মাছটি জব্দ করে ব্যবসায়ীকে অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, জব্দ করা শাপলাপাতাটি সাত মণ ওজনের। এটি স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে।
বন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিপন্ন প্রজাতির রে ফিশ ধরা, ক্রয়-বিক্রয় বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-১২ অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ। এই আইন ভঙ্গকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি এক বছর কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা।’