বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্বর্ণের দামে বড় লাফ, ভ‌রি ৭৮ হাজার টাকা

  •    
  • ৩ মার্চ, ২০২২ ১৯:২২

সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ কিনতে খরচ পড়বে ৭৮ হাজার ২৬৫ টাকা। বেড়েছে তিন হাজার ২৬৫ টাকা। ২১ ক্যারেটের সোনার দাম তিন হাজার ৯১ টাকা বাড়িয়ে ৭৪ হাজার ৭৬৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ১৮ ক্যারেটের সোনার দাম ২ হাজার ৩৩৩ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৪ হাজার ১৫২ টাকায়। সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরির দাম দুই হাজার ২১৬ টাকা বাড়িয়ে ৫৩ হাজার ৪২১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের দামামায় দেশের বাজারে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে স্বর্ণের দাম ভরিতে ৭৮ হাজার টাকা ছাড়িয়েছে।

শুক্রবার থেকে সবচেয়ে ভালো মানের স্বর্ণ ৭৮ হাজার ২৬৫ টাকায় বিক্রি হবে। দেশে এর আগে কখনই এত বেশি দামে সোনা বিক্রি হয়নি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন তিনি।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি মুহূর্তে বাড়ছে গোল্ডের দাম। এমন অস্থির বাজার আমি আমার জীবনে দেখিনি। গোল্ডের দাম শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, আমি নিজেও বুঝতে পারছি না।’

বৃহস্পতিবার বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার থেকে সারা দেশে নতুন দাম অনুযায়ী স্বর্ণ কেনাবেচা হবে।

সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ কিনতে খরচ পড়বে ৭৮ হাজার ২৬৫ টাকা। বেড়েছে তিন হাজার ২৬৫ টাকা।

২১ ক্যারেটের সোনার দাম তিন হাজার ৯১ টাকা বাড়িয়ে ৭৪ হাজার ৭৬৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ১৮ ক্যারেটের সোনার দাম ২ হাজার ৩৩৩ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৪ হাজার ১৫২ টাকায়। সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরির দাম দুই হাজার ২১৬ টাকা বাড়িয়ে ৫৩ হাজার ৪২১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

তবে রুপার দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। ক্যাটাগরি অনুযায়ী ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৫১৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের রুপার দাম ১ হাজার ৪৩৫ টাকা। ১৮ ক্যারেটের রুপার দাম ১ হাজার ২২৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ৯৩৩ টাকায় অপরিবর্তিত রাখা হ‌য়েছে।

বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ বিক্রি হতো ৭৫ হাজার টাকা। ২১ ক্যারেটের দাম ছিল ৭১ হাজার ৬৭৫ টাকা। আর ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ছিল ৬১ হাজার ৮১৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরির দাম ছিল ৫১ হাজার ২০৫ টাকা।

দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ায় স্থানীয় বাজারে বাড়ানো হয়েছে। রাশিয়া ইউক্রেনে হামলার পর থেকেই বিশ্ববাজারে গোল্ডের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। তার সঙ্গে আমাদের বাজারের দাম সমন্বয় করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘দেশে স্বর্ণের দাম বাড়া বা কমা নির্ভর করে বিশ্ববাজারের ওপর। বিশ্ববাজারে বাড়লে দেশের বাজারেও দাম বাড়ানো হয়। ঠিক তেমনি বিশ্ববাজারে দাম কমলে দেশেও কমে স্বর্ণের দাম।’

বিশ্ববাজারে বৃহস্পতিবার রাত ৭টায় প্রতি আউন্স (৩১.১০৩৪৭৬৮ গ্রাম, ২.৬৫ ভরি) স্বর্ণের দাম ছিল ১ হাজার ৯৩১ ডলার ৫৫ সেন্ট।

এর আগে সবশেষ গত ৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের বাজারে মূল্যবান এ ধাতুটির দাম ভরিতে ১ হাজার ৯৬৬ টাকা বাড়ানো হয়েছিল। তখন আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল ১ হাজার ৮২৬ ডলার ৬১ সেন্ট।

মাস দু’য়েক আগে এর দর ১ হাজার ৮০০ ডলারের নিচে নেমে এসেছিল।

২০২০ সালের আগস্টে দেশের বাজারে সবচেয়ে ভালো মানের স্বর্ণের দাম ৭৭ হাজার ২১৬ টাকায় উঠেছিল; যা ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

এ বিভাগের আরো খবর