নারীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও রেকর্ড করে তা দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করায় মাদারীপুরের কালকিনির এসএসসি পরীক্ষার্থী জহিরুল ইসলাম সরদারকে কুপিয়ে হত্যা করেছে তারই কিশোর বন্ধু। হত্যা মামলার অগ্রগতি জানাতে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বৃহস্পতিবার এসব তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সুপার (এসপি) গোলাম মোস্তফা রাসেল।
কালকিনির পূর্ব এনায়েতনগর ইউনিয়নের বাড়িতে নিজ ঘরেই গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে পাওয়া যায় জহিরুলের গলাকাটা মরদেহ। পরদিন নিহতের ভাই শাহীন সরদার হত্যা মামলা করেন।
কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইশতিয়াক আশফাক রাসেল বলেন, ‘জহিরুল খুন হওয়ার পর তার বন্ধু পলাতক ছিল। যে কি না ঘটনার আগের দিনও জহিরুলের সঙ্গে সময় কাটিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে আমরা ঘটনার সঙ্গে ওই কিশোরের সম্পৃক্ততা পাই এবং তাকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে হত্যার কথা স্বীকার করে।’
কী কারণে হত্যা? এসপি রাসেল জানান, জহিরুলের বাসায় নিয়মিত যাতায়াত ছিল তার বন্ধুর। প্রায়ই নারী সঙ্গীদের নিয়ে যেত। কোনো এক দিন নারী সঙ্গীর সঙ্গে ওই কিশোরের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও মোবাইল ফোনে রেকর্ড করে রাখে জহিরুল।
এসপি বলেন, ‘সেই ভিডিও দিয়ে বন্ধুকে ব্ল্যাকমেইল করে জহিরুল। একপর্যায়ে সে জহিরুলকে হত্যার পরিকল্পনা করে। সে অনুযায়ী গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে জহিরুলের বাসায় থাকতে যায় ওই কিশোর। রাত ৪টা থেকে সাড়ে ৪টার দিকে ঘুমন্ত জহিরুলকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় ওই বন্ধু।’
এসপি জানান, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ওই কিশোরকে ঢাকার শ্যামপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছে পাওয়া যায় জহিরুলের মুঠোফোন। আদালতে তোলা হলে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেয়।’