বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রকল্পের কাজ শুরু না হতেই মেয়াদ শেষ

  •    
  • ৩ মার্চ, ২০২২ ১৯:১৮

সওজের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মোজাম্মেল হোসেন জানান, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ২০২১ সালের ২৮ জানুয়ারি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এরপর পেরিয়েছে বছর। শুরু হয় নানা বিতর্ক। লক্ষ্মীপুর শহরের চার কিলোমিটার সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পের কাজ শুরুই হয়নি। গত ডিসেম্বর প্রকল্পের কাজ শেষ করার মেয়াদ পার হয়েছে।

ঘটা করে প্রকল্প উদ্বোধনের এক বছর পার হলেও লক্ষ্মীপুর শহর প্রশস্তকরণ সড়কের কাজ শুরুই হয়নি। গেল ডিসেম্বরে কাজের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। ওই সড়কে এরই মধ্যে পৌরবাসীর দুর্ভোগ চরমে উঠেছে।

শহরের সংকুচিত প্রধান সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার অনিয়ন্ত্রিত চলাচল এবং ফুটপাতে হকারদের দৌরাত্ম্যে যানজট লেগে থাকছে সারা দিন। এ জন্য কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ও অব্যবস্থাপনাকেও দায়ী করেছেন স্থানীয়রা।সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মোজাম্মেল হোসেন জানান, যোগাযোগব্যবস্থা আর ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ২০২১ সালের ২৮ জানুয়ারি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।

এরপর পেরিয়েছে বছর। শুরু হয় নানা বিতর্ক। চার কিলোমিটার সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পের কাজ শুরুই হয়নি। গত ডিসেম্বরে প্রকল্পের কাজ শেষ করার মেয়াদ পার হয়েছে।

তিনি জানান, জমি অধিগ্রহণসহ এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৬৯ কোটি টাকা। আর কাজ পেয়েছে এম এম বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারস লিমিটেড নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

ব্যবসায়ীরা জানান, সরু সড়কের কারণে শহরের প্রাণকেন্দ্রে সব সময় যানজট লেগেই থাকে। শহরের একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যেতে সময় লাগে দুই ঘণ্টা। এটি ১০ মিনিটের পথ। সড়ক দুটির প্রশস্তকরণ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে যানজট নিরসন হবে।

তারা জানান, অনুন্নত যোগাযোগের কারণে উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুরে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটেনি। জেলার সড়ক ও সেতুব্যবস্থার উন্নয়নে একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার।

শহরের স্মৃতি বস্ত্রালয়ের মালিক জাকির হোসেন পাটওয়ারী বাজারের দুই পাশে সমানভাবে জমি অধিগ্রহণ করে সড়ক প্রশস্তকরণের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সড়কের যে পাশে খাস জমি রয়েছে, সেদিকে প্রশস্তকরণ হলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়বেন না। সব সমস্যা সমাধান করে দ্রুত সড়কের কাজ শুরু করা দরকার।’

ব্যবসায়ী জাকির হোসেন ভূইয়াসহ অনেকে অভিযোগ করে বলেন, প্রকল্পের কাজ শুরু না করতেই মেয়াদ শেষ। কবে নাগাদ জমি অধিগ্রহণ হবে, তাও নিশ্চিত নয়।

সঠিক সময়ে প্রকল্পের কাজ শুরু না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।

জেলা বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘সরকার উন্নয়ন করবে, এতে ব্যবসায়ীদের কোনো সমস্যা নাই। বাজারের দুই পাশে সমানভাবে বাড়িয়ে রাস্তা প্রশস্তকরণ হলে কোনো আপত্তি থাকবে না ব্যবসায়ীদের। কোনো ব্যবসায়ী যেন অন্যায়ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সেদিকে প্রশাসনের নজর দিতে হবে।’

এ বিষয়ে জানতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে দায়িত্বশীল কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সওজের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ‘রাস্তা প্রশস্তকরণ কাজ এগিয়ে চলছে। বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থাকায় কাজ দেরিতে হচ্ছে। শিগগিরই কাজ শুরু হবে।’

জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোছাইন আকন্দ বলেন, ‘অনেক অভিযোগ পড়ায় কাজ শুরু করতে বিলম্ব হচ্ছে। অভিযোগগুলো নিষ্পত্তি হয়েছে। এখন জমি অধিগ্রহণ চলছে। শিগগিরই সড়ক প্রশস্তকরণের কাজ শুরু হবে।

এ বিভাগের আরো খবর