ঝিনাইদহ সদরের মান্দারবাড়িয়া গ্রামে ছুরিকাঘাতে এক কিশোর নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দুজন।
মান্দারবাড়িয়া গ্রামের স্কুল মাঠ থেকে কিছু দূরে বুধবার রাতে হামলার এই ঘটনা ঘটে। আহত মো. হোসাইন, মো. জুলফিকার ও ফিরোজ হোসনকে হাসপাতালে নেয়া হলে বৃহস্পতিবার সকালে মারা যান হোসাইন।
১৭ বছরের হোসাইনের বাড়ি শহরের বাইপাস মাঝিপাড়ায়।
সদর থানার এসআই জাকারিয়া হাওলাদার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
হোসাইনের বন্ধু আম্মার হোসেন জানান, বুধবার রাতে হোসাইনসহ পাঁচ বন্ধু মিলে সদর ওই স্কুলের মাঠে ওয়াজ মাহফিলে যায়। সেখানে তাদের বাইসাইকেল রাখার জায়গা নিয়ে এলাকার এক কিশোরের সঙ্গে হোসাইনের কথা-কাটাকাটি হয়। তা হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায়। স্থানীয়রা তাদের শান্ত করে বাড়ি পাঠায়।
আম্মারের অভিযোগ, বাড়ি ফেরার সময় ওই কিশোর ও তার বন্ধুদের ১০-১২ জনের একটি দল তাদের ওপর হামলা চালায়। ওই দলের কারও কারও হাতে ছুরি ছিল। ছুরিকাঘাতে হোসাইন, জুলফিকার ও ফিরোজ আহত হন। তাদের চিৎকারে লোকজন জড়ো হতে থাকলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
সে সময় স্থানীয়রা ওই তিনজনকে সদর হাসপাতালে নেয়। হোসাইন ও জুলফিকারের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই বৃহস্পতিবার সকালে মারা যান হোসাইন।
সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ফিরোজ বলেন, ‘যারা আমাদের ওপর হামলা করেছে তারা সবাই কিশোর। তারা একটি কিশোর গ্যাং চালায়। আমাদের ওপর ওই গ্যাংয়ের সদস্যরা হামলা চালিয়েছে।’
নিহতের মা লিপি বেগম বলেন, ‘আমি কিছু চাই না। আমি আমার সন্তানের হত্যার বিচার চাই। আমার ছেলেকে যারা মেরে ফেলেছে আমি তাদের ফাঁসি চাই।’
সদর থানার এসআই জাকারিয়া হাওলাদার জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দিলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। হামলায় জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।