বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হাদিসুরের মরদেহসহ জীবিত ক্রুদের ফেরাতে তৎপরতা চলছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী

  •    
  • ৩ মার্চ, ২০২২ ১৬:১০

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা খুবই নাজুক একটি অবস্থার মধ্যে পড়ে গেছি। আমাদের জাহাজ বাংলার সমৃদ্ধি কয়েক দিন ধরেই সেখানে আটকা অবস্থায় আছে। এটা বাণিজ্যিক জাহাজ, যুদ্ধক্ষেত্রের বাইরে থাকার কথা। তারপরেও বন্দরের মধ্যে মাইন সেট করার কারণে চ্যানেলটা বন্ধ হয়ে গেছে এবং পোর্ট কর্তৃপক্ষ পাইলটিং প্রত্যাহার করার পরে সেখানে আটকে গেছে।’

ইউক্রেনের অলিভিয়া বন্দরে রকেট হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশি জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ থেকে নিহত মেরিন ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমানের মরদেহ ও জীবিত ক্রুদের ফিরিয়ে আনতে কূটনৈতিক চ্যানেলে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তবে এ প্রক্রিয়া যুদ্ধ পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নিচ্ছে তার ওপর নির্ভর করছে বলেও জানান তিনি।

সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এসব কথা বলেন।

গত ২১ ফেব্রুয়ারি ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ নামের জাহাজটি তুর্কি বন্দর এরেগলি ছেড়ে যায়। ২৯ বাংলাদেশি নাবিক নিয়ে দুই দিন পর ২৩ ফেব্রুয়ারি জাহাজটি ইউক্রেনের বন্দর অলিভিয়ায় পৌঁছায়। ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরু হলে বন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

শিপিং করপোরেশনের নির্দেশে পণ্য লোড করার পরিকল্পনা বাতিল করে সেখানেই জাহাজটিকে অবস্থান করতে বলা হয়। বাংলাদেশ সময় বুধবার রাত ৯টা ২৫ মিনিটে যুদ্ধবিমান থেকে রকেট হামলায় বাল্কটির ডেকে আগুন ধরে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে জাহাজের ক্রু ও নাবিকরা। তবে এ ঘটনায় নিহত হন মেরিন ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান আরিফ।

তিনি বলেন, ‘আমরা খুবই নাজুক একটি অবস্থার মধ্যে পড়ে গেছি। আমাদের জাহাজ বাংলার সমৃদ্ধি কয়েক দিন ধরেই সেখানে আটকা অবস্থায় আছে। এটা বাণিজ্যিক জাহাজ, যুদ্ধক্ষেত্রের বাইরে থাকার কথা। তারপরেও বন্দরের মধ্যে মাইন সেট করার কারণে চ্যানেলটা বন্ধ হয়ে গেছে এবং পোর্ট কর্তৃপক্ষ পাইলটিং প্রত্যাহার করার পরে সেখানে আটকে গেছে।

‘এ অবস্থায় আমরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছিলাম। আমাদের জাহাজে পর্যাপ্ত খাদ্য আছে। প্রায় এক মাসের মজুত আছে। গতকাল রাতে মিসাইল হামলার খবর পাই। ব্রিজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যেহেতু ব্রিজ ক্ষতিগ্রস্ত, তাই এখন জাহাজ চলাচল সম্ভব নয়।’

তিনি বলেন, ‘জাহাজ থেকে তারা (ক্রু) যদি নেমে যায় তাহলে ঝুঁকির আরও আশঙ্কা রয়েছে। কূটনৈতিকভাবে ব্যাপক তৎপরতা চালানো হচ্ছে, যাতে তাদের আমরা নিরাপদে বের করতে পারি।

‘হাদিসুর রহমানের মরদেহটিও আমরা জাহাজে সংরক্ষণ করছি। এখন যুদ্ধ পরিস্থিতির ওপর সবকিছু নির্ভর করছে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গতকালকে যে ঘটনা ঘটে গেছে, এখন যেটা মনে হচ্ছে, সেটা তো একটা টার্গেট করেই হামলাটা হয়েছে।

‘এখন সবচেয়ে বড় কথা, নাবিকদের নিরাপত্তা আমাদের ফার্স্ট প্রায়োরিটি। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী অবহিত হয়েছেন। তিনিও এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ অন্য যেসব উইংস আছে, নির্দেশনা দিয়েছেন।’

হাদিসুরের মরদেহ কবে নাগাদ বাংলাদেশে আসতে পারে জানতে চাইলে নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এটা তো বলা মুশকিল। আমরা হাদিসুরের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। ব্যক্তিগতভাবে আমিই কথা বলেছি। দ্বিতীয় সন্তান, তার বাবা-মা আছেন। বাবা শিক্ষক ছিলেন।’

নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কাছে পরিপূর্ণ তথ্য আছে যে যেহেতু সে (হাদিসুর) সরাসরি আক্রান্ত হয়েছিল, অনেকে ধারণা করছিল সে বার্ন হয়ে গেছে। হ্যাঁ, শরীরের কিছু অংশ পুড়ে গেছে। কিন্তু হাদিসুর আমাদের সংরক্ষণে আছে। আমরা তাকে সংরক্ষণ করতে পেরেছি। এটুকু নিশ্চিতভাবে বলতে পারি।’

রাশিয়ার এ হামলাকে নিন্দা করেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখনও আমরা ঠিক কনফার্ম না যে হামলাটা যুদ্ধের মধ্যে কি না।

‘যুদ্ধের মিসাইলে আক্রান্ত হয়েছে, কিন্তু কোন মিসাইলে আক্রান্ত হয়েছে সেটা বলতে পারি না। আমরা যখন জানব কারা আক্রান্ত করেছে, তখন আমরা সেটার ব্যাপারে কথা বলব।’

এ বিভাগের আরো খবর