পোল্যান্ডের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজের নাবিক ও ক্রুদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। ফলে তাদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার অনিশ্চয়তা কাটছে বলে জানিয়েছেন দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি তৌহিদ ইমাম।
বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনও বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।
জাহাজ চলাচল ও নাবিকদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার বিষয়ে জানতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে যোগাযোগ করে নিউজবাংলা। শুরুতে এ নিয়ে সবাই অন্ধকারে থাকলেও বৃহস্পতিবার বেলা ২টার দিকে ভালো খবর আসতে শুরু করে।
পোল্যান্ডের বাংলাদেশ দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি তৌহিদ ইমাম নিউজবাংলাকে হোয়াটসঅ্যাপে জানান, ‘বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজের ক্যাপ্টেনের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। তারা সবাই ভালো আছেন। অলিভিয়া পোর্ট থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ টাগবোটের মাধ্যমে ২৮ নাবিক ক্রুকে নিরাপদে জেটিতে সরিয়ে নেবে।’
বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের মহাব্যবস্থাপক (শিপ পার্সোনেল) ক্যাপ্টেন আমির মো. আবু সুফিয়ান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ইউক্রেন সময় আজ বিকেল ৫টার মধ্যে জাহাজের ২৮ নাবিক ক্রুদের জেটিতে নিয়ে আসার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আমরা পোল্যান্ড অ্যাম্বাসির কনফার্মেশন পেতে চাই। তারা আমাদের নাবিক ক্রুদের সেফটি-সিকিউরিটি নিশ্চিত করবে।
‘জেটিতে আনার পর বন্দরের গেট পার হয়ে বাসে করে মলদোভিয়া নিয়ে যাবে। সেখানে বাংকার আছে। সেখানে থাকতে হবে। যুদ্ধ পরিস্থিতি, তাই এ পরিকল্পনায় ব্যাঘাতও ঘটতে পারে। এ জন্য আমরা তাদের পরিবারকেও জানিয়ে দিয়েছি, যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিও ঘটতে পারে। ল্যান্ডে পদে পদে ঝুঁকি আছে।
‘ইউক্রেনে সন্ধ্যার পরে সব বন্ধ হয়ে যায়। তাই আজকে কোনো কারণে তাদের সরিয়ে আনা না গেলে আগামীকাল টাগবোটের মাধ্যমে জাহাজ থেকে নামিয়ে আনা হবে।’
এদিকে চট্টগ্রামের বিএসসি কার্যালয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজের চিফ ইঞ্জিনিয়ার ওমর ফারুক তুহিনের বাবা আবুল কাশেম ও মেজ ভাই মো. ওমর শরীফ।
এ সময় বিএসসির মহাব্যবস্থাপক আমির মো. আবু সুফিয়ান তাদের বলেন, ‘আপনাদের সন্তানের মাধ্যমে জাহাজের সবাইকে জানিয়ে দেন, তারা যেন জাহাজ থেকে লাইফবোট নিয়ে লাফ না দেয়। এটা অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। ক্যাপ্টেনের নির্দেশ মানতে বলেন। টাগবোট এলে তাদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হবে।’