চাঁদপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণের টাকা ছাড় নিয়ে সেলিম খানের রিটের শুনানি শেষে রায়ের জন্য ২০ এপ্রিল দিন ঠিক করে দিয়েছে হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে সব পক্ষের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের এ দিন ঠিক করে।
এর আগে বুধবার সেলিম খানের অস্বাভাবিক দরে জমি কেনার বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত দিয়ে যুক্তি তুলে ধরে রাষ্ট্রপক্ষ।
শুনানি শেষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অধিগ্রহণ করা জমির যে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে সেলিম খান হাইকোর্টে মামলা করেন। সেই দাবির বিরুদ্ধে আমরা রাষ্ট্রপক্ষে বক্তব্য তুলে ধরি। তিনি যে জায়গা কিনেছেন, তা ২০২০ সালে।
‘ছেলে-মেয়েদের নামে একই সালের জুন মাসে তিনি যে জমি কিনেছেন, তার দাম ৯৮ হাজার টাকা। অথচ একই বছরের একই মাসে ও একই দামে মাত্র চার/পাঁচ দিনের ব্যবধানে তিনি তার জমির দাম দেখিয়েছেন ২ লাখ টাকা। আবার তারও কয়েক দিনের ব্যবধানে ক্রয় করা জমির দাম ৩ লাখ টাকা দেখানো হয়েছে। মূলত সরকারের থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অপচেষ্টা করেছেন তিনি।’
অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, ‘আমরা আদালতকে আরও বলেছি, জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে পার্শ্ববর্তী জমির ১২ মাসের মূল্যের সঙ্গে তুলনা করে দাম নির্ধারণ হবে। সরকার সেটি করেছে। ফলে উপরোক্ত কারণে তার মামলাটি চলে না।
‘এ ছাড়াও তিনি কিছু জাল দলিল আদালতে দাখিল করেছেন, যেখানে তিনি দেখিয়েছেন, তার জমি ক্রয় ২০১৯ সালের, কিন্তু প্ল্যান পাস করা ২০১৮ সালে। আমাদের কাছে মনে হয়েছে, সরকারি অর্থ আত্মসাতের উদ্দেশ্যে তিনি এসব প্রচেষ্টা চালিয়েছেন।’
চাঁদপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমি অধিগ্রহণে দলিল জালিয়াতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ ওঠে সেলিম খানের বিরুদ্ধে।