বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘বাংলার সমৃদ্ধি’তে হামলা: বিএসসির শেয়ারে বড় দরপতন

  •    
  • ৩ মার্চ, ২০২২ ১২:৪২

ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন সার্ভিসেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাক আহমেদ সাদেক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রকেট হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজটি যেহেতু বিএসসির, সে কারণে মন্দা বাজারে শেয়ারটির দর আরও পড়ে গেছে।’

ইউক্রেনের অলিভিয়া বন্দরে রকেট হামলায় বাংলাদেশি জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’র ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) শেয়ারের দরে বড় পতন হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় দেশের প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঙ্গে (ডিএসই) শেয়ারটির দর প্রায় ৫ টাকা কমে ১১৬ টাকা ৪০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। আগের দিন বুধবার শেয়ারটির শেষ লেনদেন দর ছিল ১২০ টাকা ৭০ পয়সা।

বৃহস্পতিবার ১২টা পর্যন্ত ১১৩ থেকে ১১৭ টাকার মধ্যে দেনদেন হয় শেয়ারটি।

পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন সার্ভিসেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাক আহমেদ সাদেক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এমনিতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে। প্রতিদিনই কমছে সূচক; লেনদেনও কমছে। অস্থিরতা বিরাজ করছে বাজারে। ছোট-বড় সব বিনিয়োগকারীই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘রকেট হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজটি যেহেতু বিএসসির, সে কারণে মন্দা বাজারে শেয়ারটির দর আরও পড়ে গেছে।’

রকেট হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ আর চলতে পারবে কি না তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

জাহাজটির মালিক বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের নির্বাহী পরিচালক (বাণিজ্য) পীযুষ দত্ত বলেন, ‘জাহাজের বেশ ক্ষতি হয়েছে, কিন্তু এটার সামগ্রিক ক্ষতি নিরূপণ করাটা এখন কঠিন। অনেক কিছুই ক্ষতি হয়েছে। জাহাজ আর চলাচল করতে পারবে কি না, সেটা পরীক্ষা না করে বলা যাবে না।’

`যেহেতু নোঙর করা অবস্থায় হামলা হয়েছে, তাই চলাচলের যোগ্য কি না, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। আপাতত জাহাজের ক্ষতি হয়েছে এটুকু নিশ্চিতভাবে বলতে পারি।’

গত ২১ ফেব্রুয়ারি ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ নামের জাহাজটি তুর্কি বন্দর এরেগলি ছেড়ে যায়। ২৯ জন বাংলাদেশি নাবিক নিয়ে দুই দিন পর ২৩ ফেব্রুয়ারি জাহাজটি ইউক্রেনের বন্দর অলিভিয়ায় পৌঁছায়। ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরু হলে বন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

শিপিং করপোরেশনের নির্দেশে পণ্য লোড করার পরিকল্পনা বাতিল করে সেখানেই জাহাজটিকে অবস্থান করতে বলা হয়।

বাংলাদেশ সময় বুধবার রাত ৯টা ২৫ মিনিটে যুদ্ধবিমান থেকে রকেট হামলায় বাল্কটির ডেকে আগুন ধরে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন জাহাজের ক্রু ও নাবিকরা। এ ঘটনায় নিহত হন মেরিন ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান আরিফ।

এ বিভাগের আরো খবর