বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আরও বাংলাদেশি সেনা চায় জাতিসংঘ

  •    
  • ৩ মার্চ, ২০২২ ১২:৩৬

জাতিসংঘে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের ভবিষ্যৎ চাহিদা পূরণে বাংলাদেশ আরও বেশি শান্তিরক্ষী সরবরাহ অব্যাহত রাখবে বলে প্রত্যাশা সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের।

জাতিসংঘের নেতৃত্বে বিশ্ব শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে আরও বেশি বাংলাদেশি সেনা চেয়েছেন সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। তিনি জাতিসংঘ মিশনে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের ভূমিকারও প্রশংসা করেন।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত মঙ্গলবার বিকেলে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন গুতেরেস।

জাতিসংঘে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের ভবিষ্যৎ চাহিদা পূরণে বাংলাদেশ আরও বেশি শান্তিরক্ষী সরবরাহ অব্যাহত রাখবে বলে প্রত্যাশার কথা জানান অ্যান্তোনিও গুতেরেস।

এ সময় তারা রোহিঙ্গা সংকট ও এর সম্ভাব্য উত্তরণের উপায় নিয়ে আলোচনা করেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোর করে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের এসব নাগরিকের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে মহাসচিবকে অবহিত করেন। সেই সঙ্গে সব রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে জাতিসংঘের সহযোগিতা কামনা করেন।

গুতেরেজ ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের জনগণ ও সরকার যে উদারতার পরিচয় দিয়েছে তার ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং জোর করে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিজভূমি মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে জাতিসংঘের পূর্ণসমর্থনের কথাও উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের অসামান্য আর্থসামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন গুতেরেস। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সামনের বছরগুলোতে বিশেষ করে এসডিজি অর্জনের ক্ষেত্রে আরও সাফল্য অর্জন করবে বাংলাদেশ।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের উচ্চপর্যায়ের পদে এবং বিশ্বব্যাপী জাতিসংঘের বিভিন্ন রাজনৈতিক মিশনে মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধি (এসআরএসজি) পদে আরও বেশি বাংলাদেশি নাগরিক নিয়োগের জন্য মহাসচিব গুতেরেজকে অনুরোধ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন।

এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বর্তমানে নিউ ইয়র্কে সফররত মিয়ানমার বিষয়ক জাতিসংঘ মহাসচিবের নবনিযুক্ত বিশেষ দূত ড. নোলিন হাইজারের সঙ্গে বৈঠক করেন।

বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানের লক্ষ্যে আঞ্চলিক দেশগুলোসহ সব অংশীজনের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রক্ষার জন্য বিশেষ দূতকে অনুরোধ জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রাখাইন রাজ্যে এমন একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে হবে যাতে রোহিঙ্গারা নিরাপদে, নিরাপত্তার সঙ্গে এবং মর্যাদাপূর্ণভাবে তাদের নিজভূমিতে ফিরে যেতে পারে।’

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কোভিডের বিস্তার রোধ এবং রোহিঙ্গা শিশুদের মিয়ানমারের কারিকুলামভিত্তিক শিক্ষা প্রদান বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার গৃহীত পদক্ষেপগুলোর কথা বিশেষ দূতকে অবহিত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ভাসানচরে এক লাখ রোহিঙ্গাদের জন্য নতুন আবাসন তৈরির কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘সেখানে স্থানান্তরিত রোহিঙ্গারা জীবিকা নির্বাহের কাজে নিয়োজিত হওয়ার সুযোগ পাবে। স্বদেশে ফেরার তেমন কোনো আশা নেই দেখে রোহিঙ্গাদের, ক্রমে অবৈধ ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে।’ তিনি হাইজারকে যতটা দ্রুত সম্ভব কক্সবাজার ক্যাম্প ও ভাসানচর পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানান।

জাতিসংঘ মহাসচিবের নবনিযুক্ত বিশেষ দূত মিয়ানমার থেকে জোর করে বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং তার সহানুভূতি ও নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।

তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুটি তারা সর্বোচ্চ এজেন্ডা এবং যত দ্রুত সম্ভব এই সংকটের একটি টেকসই সমাধান খুঁজে বের করার জন্য আঞ্চলিক দেশসমূহ, আন্তর্জাতিক সংস্থা, রোহিঙ্গা নেতা এবং মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষসহ সব অংশীজনদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত থাকবেন।’

এ বিভাগের আরো খবর