নিউজবাংলা সংবাদ প্রকাশের পর ঢাকার ধামরাইয়ে বনের কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির অবৈধ চুল্লিগুলো গুঁড়িয়ে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নেতৃত্ব ভ্রাম্যমাণ আদালত বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সেখানে অভিযান চালিয়ে ১৭টি চুল্লি ভেঙে দেয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকি এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গাছ পুড়িয়ে কয়লা বানানোর ‘চুল্লি’তে পরিবেশ দূষণ শিরোনামে গত ৩০ জানুয়ারি প্রতিবেদন প্রকাশ হয় নিউজবাংলায়।
নিউজবাংলার অনুসন্ধানে ঢাকার ধামরাই উপজেলার দুটি ইউনিয়নে এমন ২০টির মতো চুল্লির সন্ধান পাওয়া গেছে।
বাইশাকান্দা ইউনিয়নের গোলাকান্দা গ্রামে আটটি চুল্লির মালিক হারুন অর রশিদ। আর বালিয়া ইউনিয়নের বাস্তা গ্রামে আরও ছয়টি চুল্লির মালিক নাহিদ রানা ও মো. ইমরান।
এই প্রতিবেদন নজরে এলে বুধবার দুই ইউনিয়নেই অভিযান চালায় প্রশাসন। বনের কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি ও পরিবেশ দূষণের অভিযোগে ৪টি কারখানার ১৭টি চুল্লি ভেকু দিয়ে গুঁড়িয়ে দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হাই জকি।
তিনি নিউজবাংলাকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে ৩টি কারখানায় অবৈধভাবে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করা হচ্ছিল। নতুন আরেকটি কারখানাতেও কয়লা বানানোর প্রস্তুতি চলছিল। অবৈধভাবে গড়ে ওঠা এসব কারখানা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
এর মধ্যে বালিয়া ইউনিয়নের বাস্তা গ্রামের নাহিদ রানা ও মো. ইমরানের মালিকানাধীন একটি, দক্ষিণ গাঁওতারা এলাকার নুরুল ইসলামের একটি ও বাইশাকান্দা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকায় হারুন অর রশিদের আরেকটি কারখানা রয়েছে। অভিযানে বংশী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলায় দুটি ড্রেজারও ধ্বংস করা হয়েছে।