বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সেলিম খানের উদ্দেশ্য সরকারি অর্থ আত্মসাৎ: অ্যাটর্নি জেনারেল

  •    
  • ২ মার্চ, ২০২২ ২১:৩৮

‘সেলিম খান যে জায়গা কিনেছেন তা ২০২০ সালের। ছেলেমেয়েদের নামে একই সালের জুন মাসে তিনি যে জমি কিনেছেন তার দাম ৯৮ হাজার টাকা। অথচ একই দাগে কয়েক দিনের ব্যবধানে কেনা জমির তিনি দাম দেখিয়েছেন ২ লাখ ও ৩ লাখ টাকা। সরকার থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অপচেষ্টা করেছেন তিনি।’

চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জমি অধিগ্রহণ নিয়ে আলোচিত চেয়ারম্যান সেলিম খান হাইকোর্টে জাল তথ্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

তিনি বলেছেন, দাখিলকৃত তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে মনে হয়েছে সেলিম খান সরকারি অর্থ আত্মাসাতের উদ্দেশ্যে এটা করেছেন।

বুধবার এ-সংক্রান্ত রিট মামলার শুনানি শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অ্যাটর্নি জেনারেল এসব কথা বলেন।

এ এম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অধিগ্রহণ করা জমির যে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে সেলিম খান হাইকোর্টে মামলা করেন। সেই দাবির বিরুদ্ধে আমরা রাষ্ট্রপক্ষে আজ বক্তব্য তুলে ধরেছি।’

রাষ্ট্রের এই প্রধান আইন কর্মকর্তা বলেন, ‘সেলিম খান যে জায়গা কিনেছেন তা ২০২০ সালের। ছেলেমেয়েদের নামে একই সালের জুন মাসে তিনি যে জমি কিনেছেন তার দাম ৯৮ হাজার টাকা। অথচ একই বছরের একই মাসে একই দাগে মাত্র চার-পাঁচ দিনের ব্যবধানে তিনি তার জমির দাম দেখিয়েছেন ২ লাখ টাকা। তারও কয়েক দিনের ব্যবধানে কেনা জমির দাম ৩ লাখ টাকা দেখানো হয়েছে। মূলত সরকারের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অপচেষ্টা করেছেন তিনি।’

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আমরা আদালতকে আরও বলেছি, জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে পার্শ্ববর্তী জমির বারো মাসের মূল্যের সঙ্গে তুলনা করে দাম নির্ধারণ হবে। সরকার সেটিই করেছে। ফলে উপরোক্ত কারণে তার মামলাটি চলে না।

‘এ ছাড়া তিনি কিছু জাল দলিল আদালতে দাখিল করেছেন যেখানে দেখিয়েছেন, তার জমি ক্রয় ২০১৯ সালের কিন্তু প্ল্যান পাস করা ২০১৮ সালে। আমাদের কাছে মনে হয়েছে, সরকারি অর্থ আত্মসাতের উদ্দেশ্যে তিনি এসব প্রচেষ্টা চালিয়েছেন।’

সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে সেলিম খানকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়। প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের জন্য নির্বাচিত জমির চিহ্নিত ১৮২টি দলিলের মধ্যে ১৩৯টিই অস্বাভাবিক উচ্চমূল্যের। এসব উচ্চমূল্যের দলিলের মধ্যে ১০৬টিই চাঁদপুর সদর থানার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম খান ও তার পরিবারের চার সদস্যের নামে।

এসব দলিলের মাধ্যমে প্রায় সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টার বিষয়টি জানাজানি হলে আত্মরক্ষায় বিকল্প পথ খুঁজতে শুরু করেছে জড়িতরা। তাদের সেই চেষ্টা প্রশাসনিক বাধার মুখে থমকে যাওয়ায় বিকল্প হিসেবে এখন তারা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। সিন্ডিকেটের অন্তত দুজনের করা পৃথক দুটি রিটের ওপর হাইকোর্টে শুনানি চলছে।

এ বিভাগের আরো খবর