চিকিৎসাসেবার পরিধি বাড়িয়ে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাওয়া মানুষের স্রোত কমাতে চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোগীদের বিদেশমুখী প্রবণতা রুখতে যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
উপাচার্য বুধবার বিকেলে গণভবনে সরকারপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এই নির্দেশনা দেন বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে বিপুলসংখ্যক রোগী বিদেশে চিকিৎসা করাতে যান। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী যান ভারতে। বাংলাদেশের চিকিৎসাসেবার অপ্রতুলতার পাশাপাশি চিকিৎসা ব্যয়, অপ্রয়োজনীয় ওষুধ প্রয়োগ ও রোগ পরীক্ষা করিয়ে তা থেকে কমিশন আদায়ের পাশাপাশি চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্মীদের ব্যবহার নিয়েও রোগীদের মধ্যে নানা অভিযোগ আছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও নানা সময় চিকিৎসকদের আচরণ ও সেবার মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বিশেষ করে ২০২০ সালে করোনার প্রাদুর্ভাবের পর যখন হাসপাতাল থেকে সব রোগীকে সেবা না দিয়ে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছিল, সে সময় রাগান্বিত হয়ে বিদেশ থেকে চিকিৎসক নিয়ে আসার কথাও বলেন সরকারপ্রধান।
বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উপাচার্য প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন, এসএমএমইউএর সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল চালু হলে চিকিৎসাসেবার মান বাড়বে।
এই হাসপাতালের সর্বশেষ অগ্রগতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রম, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম, চিকিৎসাসেবা ও শিক্ষাকার্যক্রম, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে জাতির পিতার জন্মদিনে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজনের পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন বিষয় প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন উপাচার্য।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সময় মনোযোগসহকারে এসব কথা শোনেন এবং রোগীদের বিদেশমুখী প্রবণতা কমানো, চিকিৎসাসেবার পরিধি বাড়ানোসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রম আরও জোরদার করার নির্দেশ দেন।
করোনা মহামারির সময়ে সরাসরি সাক্ষাৎ দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন উপাচার্য শারফুদ্দিন। সরকারপ্রধানও তাকে ধন্যবাদ জানান।