৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে চলমান আন্দোলনের ইতি টেনেছেন গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।
বুধবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র বাংলা বিভাগের ছাত্র আব্দুল্লাহ আল রাজু।
তিনি বলেন, ‘শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে আমরা প্রশাসনকে ৭২ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিচ্ছে। এই সময়সীমার মধ্য দাবি আদায় না হলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।’
এর আগে প্রশাসনিক ভবনের সামনে ধর্ষণের বিচারের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা৷ এ ছাড়া নিরাপত্তা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্থানীয় সংসদের কাছে আবেদন জানান তারা।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী জেলা প্রশাসন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নির্মাণাধীন ভবনে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন বলে অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি জানাজানি হলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচিতে হামলা হয়। থানায় অভিযোগ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ওই ছাত্রীর একাধিক সহপাঠী জানান, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নবীনবাগের হেলিপ্যাড এলাকায় দাঁড়িয়ে বন্ধুর সঙ্গে কথা বলছিলেন ওই ছাত্রী। সে সময় একটি অটোরিকশা থেকে নেমে সাত-আটজন ছাত্র তাদের গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে যায়। সেখানে বন্ধুকে মারধর করে ওই ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।
বুধবার রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রাজিউর রহমানের লিখিত আবেদন মামলা হিসেবে নেয় গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশ। মামলায় কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। এখন পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ও র্যাব।
এর মধ্যে ছয় আসামিকে রোববার বিকেলে জেলা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে তোলা হলে ১৬৪ ধারায় তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে বিচারক হুমায়ুন কবির, তানিয়া সুলতানা লিপি ও শরিফুর রহমান আসামিদের কারাগারে পাঠান।