সেনাবাহিনী জাতির অহংকার ও বিশ্বাসের জায়গা বলে মন্তব্য করেছেন বাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে প্রশিক্ষণই সর্বোত্তম কল্যাণ।
‘এই মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ হয়ে আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আভিযানিক দক্ষতা অর্জন করে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সব সময় যুদ্ধের জন্য সেনাসদস্যদের প্রস্তুত থাকতে হবে।’
নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর উপজেলার বর্তমান স্বর্ণদ্বীপে ৬৬ পদাতিক ডিভিশন আয়োজিত যৌথ ম্যানুভার অনুশীলনে একটি পদাতিক ব্রিগেড গ্রুপের আক্রমণ অনুশীলন পরিদর্শন করেন সেনাপ্রধান। এ সময় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রায় ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিটের অনুশীলনে অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত সেনাবাহিনীর সদস্যরা যুদ্ধের পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে আক্রমণ অনুশীলন করেন। অনুশীলনে সেনাবাহিনীর পদাতিক বাহিনীর সঙ্গে বিভিন্ন অত্যাধুনিক ট্যাংক, এপিসি, গোলন্দাজ বাহিনী, ইঞ্জিনিয়ার্স ও কমান্ডোসহ সব আর্মস এবং সার্ভিসেস অংশ নেয়।
ওই মহড়ায় বিমান বাহিনী এবং আর্মি এভিয়েশনের যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার অংশ নেয়।
সেনাপ্রধান বলেন, ‘এই আভিযানিক দক্ষতা, সাহসিকতা ও পেশাদারিত্ব অর্জনে সেনাসদস্যদের প্রশিক্ষণ হতে হবে বাস্তবসম্মত।’ তিনি আভিযানিক সাফল্য অর্জনের লক্ষ্যে ভূপ্রকৃতি, সম্পদের সঠিক ও সর্বোত্তম ব্যবহারও নিশ্চিতের নির্দেশ দেন।
অনুশীলনে সেনাপ্রধানের সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।