বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আমি গাধা, তাই ঐক্যফ্রন্টে গিয়েছি: কাদের সিদ্দিকী

  •    
  • ২ মার্চ, ২০২২ ২০:৪৮

‘আমি একজন গাধা। এ জন্য ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টে গিয়েছিলাম। মনে করেছিলাম, কামাল হোসেনের মতো বর্ষীয়াণ একজন নেতা নেতৃত্ব করবেন; সারাদেশ তার পেছনে লাফ দিয়ে পড়বে। আর উনার যে আন্তর্জাতিক পরিচয় সারাবিশ্ব তার পেছনে দাঁড়িয়ে পড়বে। কিন্তু ড. কামাল হোসেনই (নির্বাচনে) দাঁড়ালেন না। আর তার পেছনে কে দাঁড়াবে?’

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপিকে নিয়ে গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেনের জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যাওয়ায় নিজেকে ‘গাধা’ বললেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আবদুল কাদের সিদ্দিকী।

তিন বছর আগের ওই নির্বাচনে ভরাডুবির পর অকার্যকর হয়ে যাওয়া এই জোট নিয়ে কাদের সিদ্দিকী এমন মূল্যায়ন করেন বুধবার।

২ মার্চ ঐতিহাসিক পতাকা উত্তোলন দিবস উপলক্ষে বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির আয়োজনে এক আলোচনায় বক্তব্য দেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ নেতা।

২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগকে মোকাবেলায় বিএনপি তার ২০ দলীয় জোটের পাশাপাশি নতুন জোট হিসেবে নিয়ে আসে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে। দল ছোট হলেও গণফোরাম নেতা ড. কামাল হোসেন এই জোটের প্রধান নেতা হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন।

তবে এই জোট ও ২০ দল মিলিয়ে আসন পায় ৭টি। ভোট শেষে ফল মেনে না নিয়ে আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দেয় ঐক্যফ্রন্ট। তবে পরে কোনো কর্মসূচি আর দেয়া হয়নি।

ঐক্যফ্রন্ট গঠনের পাশাপাশি বিএনপি স্বাধীনতাবিরোধী দল জামায়াতকে নিয়ে সমান্তরাল আরেকটি জোট চালিয়ে যাওয়ায় বিব্রত হন ঐক্যফ্রন্টের শরিকরা। একটি বিদেশি গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে কামাল হোসেন বলেন, জামায়াত বিএনপির সঙ্গে জোটে থাকবে জানলে তিনি ঐক্যফ্রন্টে যেতেন না।

কাদের সিদ্দিকীও জামায়াতকে নিয়ে আপত্তি তোলেন। একাত্তরের এই বীর যোদ্ধা পরে এক আলোচনায় বলেছেন, জামায়াতের সঙ্গে তিনি বেহেশতেও থাকতে চান না।

জেএসডির আলোচনায় কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি একজন গাধা। এ জন্য ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টে গিয়েছিলাম। মনে করেছিলাম, কামাল হোসেনের মতো বর্ষীয়াণ একজন নেতা নেতৃত্ব করবেন; সারাদেশ তার পেছনে লাফ দিয়ে পড়বে। আর উনার যে আন্তর্জাতিক পরিচয় সারাবিশ্ব তার পেছনে দাঁড়িয়ে পড়বে। কিন্তু ড. কামাল হোসেনই (নির্বাচনে) দাঁড়ালেন না। আর তার পেছনে কে দাঁড়াবে? কেউ না।’

গত জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন জনতা লীগের নেতা। বলেন, ‘আলোচনা হলো জামায়াত এই জোটে (জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট) নাই। থাকল না। কিন্তু বেনামিতে ২৭-২৮টি সিট তাদেরকে দিয়ে দেয়া হলো। ঐক্যজোট ভাবল, আমরা যা বলব বাংলাদেশের মানুষ তাই করবে। আমার তো মনে হয় এ ধরনের দ্বিচারিতা করলে কিয়ামত পর্যন্ত কিছু হবে না।’

‘বিএনপি একটা মস্ত বড় দল। বিএনপি মনে করল, জামায়াত আছে। তারা ক্যাডারভিত্তিক দল। ক্যাডার দিয়ে আমাদেরকে ভাসিয়ে দেবে, আমাদের আর কোনো কিছু করতে হবে না।

‘জামায়াত মনে করল, বিএনপি তো সব করে ফেলবে, আমাদের আবার কী। মাঝখান থেকে আমাদের কয়েকটা সিট নিয়ে নেয়া হলো।’

আলোচনায় জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরাম সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টু, বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, গণঅধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নুর বক্তব্য রাখেন।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে এই আলোচনায় আমন্ত্রণ জানানো হলেও তিনি যাননি। তার অসুস্থতার কথা জানানো হলেও সভায় উপস্থিত মান্না ধারণা করেন, জাফরুল্লাহ উপস্থিত আছেন বলে বিএনপি নেতা সেখানে যাননি।

এ বিভাগের আরো খবর