মামলা ছাড়াই আটকের পর থানা হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন হয়েছে।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালতে বুধবার রাজিব কর রাজু নামে একজন স্বর্ণ ব্যবসায়ী এই আবেদন করেন।
আদালত বাদীর জবানবন্দি নিয়ে আদেশ পরে দেয়া হবে বলে জানিয়ে দেয়।
বিচারক ২/৩ দিন পর এ বিষয়ে আদেশ দিবেন বলে জানান সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল।
মামলায় যাদের আসামি করার আবেদন করা হয়েছে তারা হলেন- কোতয়ালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান, এসআই আব্দুল জলিল এবং এএসআই ফরিদ ভূঁইয়া।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি রাত আড়াইটার দিকে বাদীর গোয়ালনগরের বাসায় সিলিং ভেঙ্গে সাদা পোশাকে ঢোকেন এসআই মিজান ও এএসআই ফরিদ ভূঁইয়া। তারা রাজুকে হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় চড়-থাপ্পড় মারতে থাকে।
পুলিশ এ সময় বাসা তল্লাশি করে ১১ লাখ ৫৮ হাজার ৩৩৮ টাকা দামের স্বর্ণ জব্দ করে। তারা নগদ ৪১ হাজার ৩০০ টাকা ছাড়াও মোবাইল ও ল্যাপটপ নিয়ে যান।
থানায় নিয়ে রাজুকে নির্যাতন করা হলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে ফের থানায় নেয়া হয়। তখন রাজুর কাছে ৫ লাখ টাকা দাবি করেন পুলিশ কর্মকর্তারা। টাকা না পেলে তাকে অস্ত্র ও মাদক মামলায় আসামি করা হবে বলে হুমকি দেয়া হয়।
রাজুর পরিবার দুই দফায় দুই লাখ টাকা দিলেও নির্যাতন থেকে মুক্তি মেলেনি। পরে রাজু অসুস্থ হয়ে প্রায় এক বছর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে রাজু কোতয়ালী থানায় গেলে পুলিশ মামলা নিতে রাজি হয়নি। তখন অভিযোগটি পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের কাছে দেয়া হয় বলে এজাহারে উল্লেখ করেন বাদী। এ অবস্থায় আদালতে মামলার জন্য আবেদন করা হয়।