নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির বাড়ার পেছনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীরা জড়িত বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। এ ক্ষেত্রে সরকার ব্যর্থ মন্তব্য করে পদত্যাগ দাবি করেছেন দলটির নেতা-কর্মীরা।
দলটির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার সাভার, বরিশাল, ভোলা, জামালপুর, ঝিনাইদহ, খাগড়াছড়ি , নাটোর, নীলফামারী ও পটুয়াখালীতে সমাবেশে এসব কথা বলেন বক্তারা। দ্রব্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে না আসলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন তারা।
কর্মসূচিতে ছাত্রদল, যুবদলসহ বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। তবে সমাবেশে বিএনপির মিছিলে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। এছাড়া পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়ায় বিএনপির একাধিক কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
‘এমপি-মন্ত্রীরা চুরি করতে করতে দেশে দ্রব্যের দাম ঊর্ধ্বগতি’
বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের এমপি ও মন্ত্রীরা চুরি করতে করতে আজ দেশে সব দ্রব্যের দাম ঊর্ধ্বগতি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যতদিন ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন দেশে সুষ্ঠু কোনো নির্বাচন হবে না। তাদের ভোট ডাকাতি এখন দেশ ডাকাতিতে পরিণত হয়েছে।’
বরিশালের অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি আয়োজিত এ সমাবেশে জেলার দশটি উপজেলার নেতা-কর্মীরা যোগ দেয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবদুল আউয়াল মিন্টু সরকারের নানা সমালোচনা করেন।
সাধারণ মানুষ সরকারের নির্যাতনের শিকার বলেও দাবি করেন এই বিএনপি নেতা। এ সময় দলীয় নেতা-কর্মীদের সব অভ্যন্তরীণ ভুল বোঝাবুঝি ভুলে তারেক রহমানের ডাকে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে একাট্টা হওয়ার আহবান জানান তিনি।
‘আওয়ামী লীগ জনগণের দুঃখ দেখে না, তাই দ্রব্যের দাম কমে না’
জামালপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ সম্পাদক রুমীন ফারহানা এমপি বলেছেন, ‘সিন্ডিকেটের সঙ্গে সরকারের এমপি-মন্ত্রীরা জড়িত। তারা সিন্ডিকেটের কাছ থেকে টাকা পেয়ে দেশের বাইরে সম্পত্তি বানাচ্ছে। এই সরকার জনগণের সরকার না, জনগনের দুঃখ সরকার দেখে না; তাই দ্রব্যমূল্যের দাম কমে না।’
বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে ছিল দাবি করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তা অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে।’
জেলা শহরের শফি মিয়ার বাজার মোড় এলাকায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়ে জনগণের পকেট কেটে দেশের বাইরে অঢেল সম্পদ বানাচ্ছে। এই অঢেল সম্পদের হিসাব বিএনপির কাছেও আছে। কড়ায় গন্ডায় সেই হিসাব নেয়া হবে।’
এবারের নির্বাচনে বিএনপি জয়লাভ করবে দাবি করে তিনি আরও বলেন, ‘আমেরিকার আরও ৫৫০ জনের তালিকা করেছে। যারা দেশে খুন ও গুমের সঙ্গে জড়িত। জনগণ তাদেরকে ছাড় দিবে না। এবারের নির্বাচনে বিএনপি জয়লাভ করবে। বিএনপির জয়লাভের পরই দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে।’
সমাবেশে বক্তারা চাল, ডাল, তেল ও গ্যাসসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে টিসিবির মাধ্যমে সহনীয় মূল্যে গ্রাম ও শহরে মানুষের মধ্যে পণ্য সরবরাহের দাবি জানান। দ্রুত দাম সহনীয় পর্যায়ে না আসলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন তারা।
সমাবেশে ছাত্রদল, যুবদলসহ বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের হাজারো নেতা-কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করতে না পারলে ক্ষমতা ছাড়ুন’
চাল, ডাল, তেল, গ্যাসসহ নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করতে না পারলে ক্ষমতা সরকারকে ক্ষমতা ছাড়ার আহবান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।
ঝিনাইদহ প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ আহবান জানান।
তিনি বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি সরকারের ব্যর্থতা প্রমাণ করে। তা রোধ করতে না পারলে সরকার ক্ষমতা ছেড়ে দিক।’
বর্তমান নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে ফেরেশতা দিয়েও যদি নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়, তবু নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। জনগণের দাবির মুখে এই কমিশন পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে।’
‘আপনারা নিশ্চিত থাকেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে বিএনপি আগামীতে কোনও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না।’
‘নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া কোনো কমিশনের নির্বাচনে যাবে না বিএনপি’
নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কোনো সরকার মনোনীত নির্বাচন কমিশনের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম।
খাগড়াছড়িতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ‘জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সরকারের পতন ঘটিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে দলটি নির্বাচনে যাবে।’
সমাবেশে খাগড়াছড়ি বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভূইয়ার সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক মো. শরীফ হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ এম রাশেদ খানসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা-উপজেলা নেতারাও বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, ‘অবৈধ পথে ক্ষমতায় আসা সরকার দেশের কোনো কিছুর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারছে না। যার প্রভাব পড়েছে নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের ঘাড়ে। দেশের মানুষ অনাহারে মরছে আর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা নিজেদের আখাড় গুছিয়ে নিচ্ছে। নিত্য পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির সরকারের ব্যর্থতা স্পষ্ট। তাই জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকার পতনের আন্দোলনকে বেগবান করতে হবে।
‘সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে’
নীলফামারীতে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য আবুল খায়ের ভুইয়া বলেন, ‘সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। কোনো দিকে সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। তাই অবিলম্বে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।’
শহরের পৌর বাজারে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাবেশে তিনি খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করেন। বলেন, ‘আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়ার নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে আটকে রাখা হয়েছে। আমরা তার মুক্তি চাই।’
‘ব্যবসায়ীদের দিয়ে জনগণের পকেট কাটছে সরকার’
সরকার ব্যবসায়ীদের দিয়ে জনগণের পকেট কাটছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোহাম্মদ শামছুল আলম।
ভোলা জেলা বিএনপিরর আয়োজনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রধান অতিথিত বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। এদিন সমাবেশে পুলিশের উপস্থিত ছিলো চোখে পড়ার মতো।
শামছুল আলম বলেন, ‘বর্তমান সরকারের বাজার ব্যবস্থার উপর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। গরীব-দুঃখী মানুষদের শেষ করে দেয়ার জন্য ব্যবসায়ীদের দিয়ে পণ্যের দাম বাড়িয়ে জনগনের পকেট কাটছে।’
‘তেলের দাম বাড়ার কারণে পরিবহনে ভাড়া বেড়েছে, পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দাম বেড়েছে। এর ফলে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে।’
দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে সাধারণ মানুষ আজ দিশেহারা মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘চাল, ডাল, তেলের দাম কমান, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির দাম কমান। জনগণের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে পদত্যাগ করেন।’
পুলিশের ওপর বিএনপিকর্মীদের ইট-পাটকেল, আটক ২
সাভারে বিএনপি নেতা-কর্মীরা পুলিশের দিকে ইট-পাটকেল ছুড়লে লাঠিপেটা করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয়। আটক করা হয় বিএনপির দুই কর্মীকে।
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাকিজা এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করলে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আটক দুজনের বিস্তারিত পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
ঢাকা জেলা বিএনপির সহ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরিফুল আলম জানান, ঢাকা জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশ উপলক্ষে বুধবার সকাল থেকে দলীয় নেতা-কর্মীরা সাবেক সংসদ সদস্য সালাউদ্দিন বাবুর ব্যাংক কলোনির বাসায় জড়ো হতে থাকেন। দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী ও বিএনপির জাতীয় কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরীও সেখানে উপস্থিত হন।
সমাবেশ শেষে নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাকিজা এলাকায় গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। বিএনপিকর্মীরা পুলিশের দিকে ইট-পাটকেল ছুড়লে লাঠিপেটা করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয়।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাঈনুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মহাসড়কে বিনা অনুমতিতে সমাবেশ করার চেষ্টা করা হয়। আমরা তাদের অনুমতির কথা বললে আকস্মিকভাবে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়ে। নাশকতামূলক কাজ করার চেষ্টা করা হয়।’
মিছিলে ছাত্রলীগ যুবলীগ স্বেচ্ছাসেবক লীগের ‘হামলা’
পটুয়াখালীতে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। এতে বিএনপির অন্তত ৫০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. মজিবুর রহমান টোটন।
তিনি বলেন, ‘সকালে বিএনপির একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি বিএনপির বনানী রোডের কার্যালয় থেকে সরকারী কলেজের দিকে অগ্রসর হলে পুলিশের বাধার মুখে পরে। পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার পর মিছিলটি নিয়ে বনানী চত্বরে আসে।’
‘এ সময় উল্টো দিক থেকে ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের নামধারী সন্ত্রাসীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এতে বিএনপির অন্তত ৫০ নেতা-কর্মী আহত হয়। পুড়িয়ে দেয়া হয় একটি মোটরসাইকেল। আওয়ামী লীগের সঙ্গে উপস্থিত পুলিশও আমাদের ওপর লাঠিচার্জ ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘হামলায় জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সফিউল বাশার উজ্জল, সদর থানা ছাত্রদলের আহবায়ক জাকারিয়া আহম্মেদ, দেলোয়ার হোসেন, কাজী মাহাবুব আলম, মীর মাকসুদুর রহমান, বশির উদ্দিন, মোস্তফা, নুরুজ্জামান, মশিউর রহমান মিলনসহ অনেকে পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে।’
জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সফিউল বাশার উজ্জল বলেন, ‘কর্মসূচীতে আওয়ামী লীগ নামধারী সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। এতে আমার হাত ভেঙে যায়। ঘটনাস্থালে উপস্থিত পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ না করে আমাদের পেটায়।’
একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বিএনপির লোকজন মিছিল নিয়ে বনানী চত্বরে এলে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা তাদেরকে ধাওয়া করলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। এ সময় বিশৃঙ্খলা তৈরি হলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিাতি শান্ত করে।
জেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. রিফাত হাসান সজীব বলেন, ‘যে কোনো ই্যসুতে বিএনপি নাটক করে আসছে। বিগত দিন থেকেই নিজেদের দ্বন্দ্ব আমাদের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে। আজকের ঘটনায় আমরা দায়ী নয়।’
এ বিষয়ে নদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, ‘জনগণের জানমাল রক্ষায় ও তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের এনেছে পুলিশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে পরবর্তীতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।’
হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কে বা কারা হামলা করেছে, সে বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তাছাড়া বিএনপির কেউ আহত হয়েছে কিনা তাও বলতে পারব না। আমাদের কাছে এমন কোনো খবর নাই।’
এছাড়া লক্ষ্মীপুর, শেরপুর, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, সাতক্ষীরা, পিরোজপুর, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জসহ আরও কিছু জেলায় এ কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। এসব সমাবেশেও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সরকারকে দায়ী করে নানা সমালোচনা করেছেন দলটির নেতা-কর্মীরা। এ সময় তারা নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো সরকার মনোনীত নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার কথাও বলেছেন তারা।