গত সপ্তাহে ৩৮ হাজার বাংলাদেশিকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা দিয়েছে ঢাকার সৌদি দূতাবাস। একই সঙ্গে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি এক দিনে ১২ হাজার ৩০০ ভিসা ইস্যু করে রেকর্ড করেছে দূতাবাস।
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকায় সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দাহিলান।
তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন আমরা গড়ে ছয় হাজারের মতো করে ভিসা ইস্যু করছি।’
২৩ লাখের বেশি বাংলাদেশি মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশটিতে কর্মরত। তারা সৌদির অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে আমরা অভিবাসী শ্রমিক নেয়া অব্যাহত রাখব।’
‘আমরা এখন প্রশিক্ষণের দিকে বেশি জোর দিচ্ছি, কারণ এর দুটি সুবিধা রয়েছে। প্রথমত, যে প্রশিক্ষণ পাবে সে উপসাগরীয় ছয়টি দেশের যেকোনো একটিতে কাজ করতে পারবে, দ্বিতীয়ত দক্ষ শ্রমিক হওয়ার কারণে সে আগের চেয়ে বেশি মজুরি পাবে।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা আশা করি আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে এবং দুই দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে।’
ঢাকায় আসছেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের আমন্ত্রণে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল সাউদ ১৬ মার্চ দুই দেশের মধ্যে প্রথম আনুষ্ঠানিক রাজনৈতিক সংলাপের জন্য ঢাকা আসছেন বলে জানান রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দাহিলান।
‘দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে এবং সম্পর্কের সব বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।’
দ্বিপক্ষীয় ও আন্তর্জাতিক সবকিছুতে দুই দেশের মধ্যে ঐকমত্য রয়েছে বলে তিনি জানান।
‘সৌদি আরবের বড় কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে আসতে চায়, কিন্তু কোভিডের জন্য এবং সরকারের কিছু নিয়মের জন্য দেরি হচ্ছে। নিকট ভবিষ্যতে ২৩টি বড় কোম্পানি একসঙ্গে বাংলাদেশে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।’
গত মাসে সৌদি শিল্প মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশের পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ কর্তৃপক্ষের মধ্যে ভার্চুয়াল মিটিং হয়েছে এবং সেখানে বিনিয়োগ নিয়ে বড় ধরনের আলোচনা হয়েছে বলে তিনি জানান।
‘আশা করি, আগামী কয়েক মাসের ভেতর আমরা বড় ধরনের অগ্রগতি দেখতে পাব,’যোগ করেন এই কূটনীতিক।