বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জেএসডির সভায় জাফরুল্লাহ, এলেন না ফখরুল

  •    
  • ২ মার্চ, ২০২২ ২০:০৬

মান্না বলেন, ‘আজকে মির্জা ফখরুল ভাইয়ের এখানে থাকার কথা ছিল। আমার অবশ্য তখনই ডাউট হলো, তখনই যখন কার্ডের মধ্যে জাফরুল্লাহ ভাইয়ের নাম লেখা, আবার মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর নাম লেখা। এই দুইজন এক সঙ্গে যাবে নাকি? বহুদিন ধরে দেখছি যায় না।’

একাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে বিএনপির করা জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক জেএসডির আয়োজনে এক আলোচনায় আমন্ত্রণ পেয়েও এলেন না বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে অসুস্থতা। তবে অকার্যকর হয়ে যাওয়া এই জোটের আরেক শরিক নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার ধারণা, গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী সেই আলোচনায় অংশ নেয়ায় বিএনপি নেতা তাতে যাননি।

২ মার্চ ঐতিহাসিক পতাকা উত্তোলন দিবস উপলক্ষে বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এই আলোচনার আয়োজন করা হয়।

১৯৭১ সালের এই দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন বর্তমানে জেএসডি সভাপতি ও সে সময় ছাত্রলীগ নেতা আ স ম আবদুর রব। এরপর থেকে দিবসটি পতাকা উত্তোলন দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

মান্না বলেন, ‘আজকে মির্জা ফখরুল ভাইয়ের এখানে থাকার কথা ছিল। আমার অবশ্য তখনই ডাউট হলো, তখনই যখন কার্ডের মধ্যে জাফরুল্লাহ ভাইয়ের নাম লেখা, আবার মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর নাম লেখা। এই দুইজন এক সঙ্গে যাবে নাকি? বহুদিন ধরে দেখছি যায় না।’

মান্না যখন এই বক্তব্য রাখছিলেন তখন জাফরুল্লাহ চৌধুরী হাসছিলেন। তবে তিনি তার বক্তব্যে ফখরুলের অনুপস্থিতি বা তাকে নিয়ে বিএনপি নেতার মন্তব্য বিষয়ে কোনো কথা বলেননি।

তিনি বলেন, ‘আমি বিএনপির কথা বলতে চাই না। অনেকে মনক্ষুন্ন হয়। সত্য কথা হজম করার শক্তি খুব বেশি লোকের নাই।’

গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সরকারবিরোধী আন্দোলনে নামতে তাগিদ দেন। পাশাপাশি বামপন্থি রাজনৈতিক দল সিপিবি কেন কিছু করতে পারছে না, তা নিয়ে আক্ষেপের কথা বলেন।

২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর নানা ঘটনায় জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও বিএনপি কাছাকাছি আসেন। ২০১৫ সালে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সরকার পতনের আন্দোলনের ডাক দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ ডাকার পর সেটি অকার্যকর হয়ে পড়লে বিএনপির জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতি থেকে উদ্ধারে এগিয়ে আসেন জাফরুল্লাহ। সে সময় ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপিকে নিয়ে আসতে ভূমিকা রাখেন তিনি।

এরপর ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে বিএনপির আরেক জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনেও জাফরুল্লাহ রাখের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

তবে গত বছর বিএনপি সমর্থক একটি সংগঠনের আলোচনায় তারেক রহমানকে রাজনীতিতে থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়ে বিএনপির বিরাগভাজন জন জাফরুল্লাহ। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন গঠন ইস্যুতে দুই পক্ষ আবার অনেকটাই বিরোধী অবস্থানে উপনীত হয়েছে।

নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালকে খাঁটি মানুষ আখ্যা দিয়ে তাকে মেনে নিতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানান।

তবে মির্জা ফখরুল ময়মনসিংহে এক জনসভায় বলেছেন, বিএনপির সঙ্গে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি বিএনপির হয়ে কোনো মত দেয়ার অধিকার রাখেন না।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী যে আলোচনায় উপস্থিত, সেখানে মির্জা ফখরুলের না আসার বিষয়টি নিয়ে মান্না বলেন, ‘উনি উনার একটা অসুখের কথা বলেছেন, এজন্য বলতে চাই না। উনি অসুস্থ, এজন্য আসতে পারেননি।’

সরকারবিরোধী সব দলকে যুগপৎ আন্দোলনের আহ্বান জানিয়ে মান্না বলেন, ‘চলেন একসাথে হাঁটি, হাঁটতে হাঁটতে মিছিল হবে ঐক্য হবে।’

বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কী ভাবছেন? আওয়ামী লীগ চলে গেলেও ভোট হলো আর আপনারা ক্ষমতায় আসলেন। আওয়ামী লীগ সব পুলিশদের ডাকবে, বলবে, তোদের বিরুদ্ধে বিএনপি কত ক্ষ্যাপা জানিস তো...। তখন সমস্ত পুলিশ জান দিয়ে, আবার আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনার চেষ্টা করবে।’

বর্তমান সরকার আর বেশি দিন টিকে থাকতে পারবে না বলেও ভবিষ্যদ্বাণী করেন মান্না। বলেন, ‘এটা আমার গায়েবি আওয়াজ বলে মনে হয় না।’

জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, ‘দলীয় সরকারের অধীনে আর নির্বাচন নয়। বিদ্যমান সংকট নিরসনে আমাদের লক্ষ্য, সরকার পদত্যাগের পর ঐক্যমতের ভিত্তিতে নূন্যতম সময়ে রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা।

‘এই সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে আমরা যাব না। জাতীয় সরকার গড়ে তুলতে হবে। জাতীয় সরকারের মাধ্যমে যে সরকার হবে তার অধীনে আমরা নির্বাচন করব।’

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি আবদুল কাদের সিদ্দিকী, গণফোরামের একাংশের সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টু, বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুরও আলোচনায় বক্তব্য রাখেন।

এ বিভাগের আরো খবর