তিন দিনের ষষ্ঠ জাতীয় সবজি মেলায় ৩১ লাখ ৪৭ হাজার টাকার সবজি বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন চত্বরে আয়োজিত এ মেলা সোমবার শুরু হয়ে শেষ হয় বুধবার।
কৃষি মন্ত্রণালয় বলছে, গত বছরের চেয়েও এ বছর মেলায় বেশি সবজি বিক্রি হয়েছে। গত বছর মেলায় সবজি বিক্রি হয়েছিল ৩০ লাখ টাকার। এ বছর মেলায় সরকারি ৯টি ও বেসরকারি ৩৭টি প্রতিষ্ঠানের ৪৬টি দোকান অংশ নেয়।
মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে সবজি খাতে অবদান রাখার জন্য বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়।
এ বছর শাক-সবজি আবাদে বিশেষ অবদানের জন্য ব্যক্তি পর্যায়ে চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার আব্দুল হালিমকে প্রথম পুরস্কার প্রদান করা হয়।
দ্বিতীয় হয়েছেন হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার আব্দুল বাছির বদু। তৃতীয় হয়েছেন ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া উপজেলার কামরুল আহসান এবং টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ি উপজেলার মিজানুর রহমানকে দেয়া হয়েছে বিশেষ পুরস্কার।
শাক-সবজি উৎপাদনের মাধ্যমে শস্যের নিবিড়তা বৃদ্ধি, হেক্টর প্রতি গড় ফলন সর্বোচ্চ ও দেশের সবজির চাহিদা পূরণে বিশেষ অবদান রাখায় জেলা পর্যায়ে প্রথম হয়েছে চুয়াডাঙ্গা, দ্বিতীয় নারায়ণগঞ্জ, এবং তৃতীয় ঠাকুরগাঁও।
সবজি ও সবজি বীজ উৎপাদনে বিশেষ অবদান বিবেচনায় শ্রেষ্ঠ জেলা নির্বাচিত হয়েছে মেহেরপুর। ফসল গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।
মেলায় অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রযুক্তি প্রদর্শনী ও নান্দনিকতা বিবেচনায় শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
দোকানের যথার্থতা, সাজসজ্জা, প্রদর্শিত দ্রব্যের মান, পরিমাণ ও প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা উপস্থাপন করে জাতীয় সবজি মেলায় অংশ নেয়া দোকানগুলোর মধ্যে সরকারি পর্যায়ে প্রথম হয়েছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)। দ্বিতীয় হয়েছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এবং তৃতীয় হয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর (ড্যাম)।
বেসরকারি পর্যায়ে প্রথম হয়েছে গ্রিন সেভারস অ্যাসোসিয়েশন, দ্বিতীয় হয়েছে কৃষক বাংলা এগ্রো প্রোডাক্টস এবং তৃতীয় বায়োটেক মাশরুম।
এ ছাড়া প্যাভিলয়ন পর্যায়ে প্রথম হয়েছে এসিআই সিড, দ্বিতীয় মেটাল অ্যাগ্রো লিমিটেড এবং তৃতীয় বিআরএসি সিড অ্যান্ড অ্যাগ্রো এন্টারপ্রাইজ। মেলায় অংশ নেয়া সব প্রতিষ্ঠানকেই পুরস্কৃত করা হয়।