বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) গত ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৫ লাখ ইয়াবা, চার কেজি আইস, পাঁচ কেজি স্বর্ণ, কষ্টিপাথরের মূর্তি, অস্ত্রসহ অন্যান্য মালামাল জব্দ করেছে।
বিজিবি জানিয়েছে, ‘বাহিনীটি ১১৯ কোটি ৬১ লাখ ৬৪ হাজার টাকা সমমূল্যের বিভিন্ন ধরনের চোরাচালান পণ্যসামগ্রী, অস্ত্র ও গোলাবারুদ এবং মাদকদ্রব্য জব্দ করতে সক্ষম হয়েছে।’
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জব্দ মাদকের মধ্যে রয়েছে ১৫ লাখ ৫৭ হাজার ৭১৬ ইয়াবা, ৪ কেজি ১৭০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ (আইস), ২ কেজি ১০০ গ্রাম আফিম, ২৯ হাজার ৫৩৯ বোতল ফেনসিডিল, ১৭ হাজার ২০১ বোতল বিদেশি মদ, ১ হাজার ৭৯০ ক্যান বিয়ার, ১ হাজার ৯০২ কেজি গাঁজা, ১০ কেজি ১২০ গ্রাম হেরোইন, ১ লাখ ৫২ হাজার ৭৮৭টি ইনজেকশন, ৫ হাজার ৪২৪টি ইস্কাফ সিরাপ, ৬৩৩ বোতল এমকেডিল/কফিডিল, ৩৭ হাজার ১৪২টি এনেগ্রা/সেনেগ্রা ট্যাবলেট এবং ২ লাখ ৬৪ হাজার ৫৫৮টি বিভিন্ন ধরনের ট্যাবলেট।
জব্দকৃত অন্যান্য চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ৫ কেজি ৮৭০ গ্রাম স্বর্ণ, ৪৬ কেজি ৬৫ গ্রাম রুপা, ১ লাখ ২১ হাজার ৫৮৫টি কসমেটিকস সামগ্রী, ১২ হাজার ১৭৯টি ইমিটেশন গয়না, ৭ হাজার ২৬৯টি শাড়ি, ২০ হাজার ৪৭৪টি থ্রি-পিস/শার্ট পিস/চাদর/কম্বল, ২ হাজার ৭২১ ঘনফুট কাঠ, ৬ হাজার ৬৩৯ কেজি চা পাতা, ১৯ হাজার ৪১০ কেজি কয়লা, দুটি কষ্টিপাথরের মূর্তি, চারটি ট্রাক/কাভার্ড ভ্যান, চারটি প্রাইভেট কার/ মাইক্রোবাস, ১৭টি পিকআপ, ৩৫টি সিএনজি/ইজিবাইক এবং ৭৫টি মোটরসাইকেল।
উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে একটি পিস্তল, একটি গান, ১১ রাউন্ড গুলি এবং একটি ম্যাগাজিন। এ ছাড়া সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ২৫৯ জন চোরাকারবারিকে এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ২০৯ বাংলাদেশি নাগরিক ও ১১ ভারতীয় নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।