সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। এ সম্পর্ক আরও জোরদার করতে আগ্রহী দুবাই।
বুধবার দুপুরে ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) কার্যালয়ে সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে এ কথা বলেন ঢাকায় নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লা আলি আল হামুদি।
বাংলাদেশের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পকে সম্ভাবনাময় বলে মনে করেন তিনি। রাষ্ট্রদূত জানান, দুবাইয়ের গ্লোবাল ভিলেজে বিভিন্ন দেশের প্যাভিলিয়ন রয়েছে। বাংলাদেশ চাইলে এই সুযোগ গ্রহণ করতে পারে।
আব্দুল্লা আলি আল হামুদি জানান, প্যাভিলিয়ন স্থাপনের মাধ্যমে দুবাইসহ বিভিন্ন দেশের পর্যটকদের কাছে বাংলাদেশের পণ্য সম্পর্কে তথ্য তুলে ধরা সহজ হবে। একই সঙ্গে দুই দেশের বাণিজ্যও বাড়বে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশের অন্যতম একটি শ্রমবাজার। দেশটিতে প্রকৌশলী, চিকিৎসক, নার্সসহ সম্মানজনক পেশায় বাংলাদেশিদের সংখ্যা বাড়ছে বলে জানান তিনি।
বৈঠকে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, দক্ষ শ্রমিক, ১৭ কোটি মানুষের বিশাল অভ্যন্তরীণ বাজার, অর্থনৈতিক অঞ্চলে অবকাঠামো সুবিধা ও বিভিন্ন দেশে রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধার কারণে বৈশ্বিক উদ্যোক্তাদের কাছে বাংলাদেশ এখন আকর্ষণীয় বিনিয়োগ গন্তব্যে পরিণত হয়েছে।
এ সুযোগ কাজে লাগাতে আরব আমিরাতের বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।
বৈঠকে চলতি মাসে উদ্বোধন হতে যাওয়া ইউএই ও বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের বিষয়েও আলোচনা হয়।
খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, হালাল ফুড ও দক্ষতা উন্নয়নসহ নানা খাতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বিনিয়োগ সম্পর্ক বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে বলে জানানো হয় এ সময়।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি এম এ মোমেন, মো. আমিন হেলালী, সালাউদ্দিন আলমগীর, হাবীব উল্লাহ ডন, পরিচালক মো. আমজাদ হোসাইন ও মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক।